কিছু মনে করবেন না।আমি ১০হাজার টাকায় সাউন্ড বক্স কিনে ভাড়া দিবো।এখন সমস্যা হলো-যারা সাউন্ড বক্স ভাড়া নিবে,তারা যদি গান,বাজনা,অর্থাৎ ইসলামের নিষিদ্ধ গান,অন্যান্য অডিও সাউন্ড বক্সে বাজায়,,তাহলে এতে যে গুনাহ্ হবে,সেই গুনাহ্ কি আমার উপর পতিত হবে।অর্থাৎ বক্সতো আমার,গুনাহ্ কি আমারও হবে।[এই প্রশ্নটির উত্তর বিঙ্গ আলেম ও যারা মাদ্রাসায় পডেছেন,যারা জানেন তারাই দিবেন]কেউ যদি না জেনে বলেন গুনাহ্ হবেনা,তাহলে যদি গুনাহ্ হয়,তবে সেই গুনাহের ভাগ তারও নিতে হবে।কেননা আমি আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবো।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি এবং অন্য মানুষ যে ভাড়া নিয়েছে উভয়ের গুনাহ হবে ।কারন,হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়।-তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১

এখানে কোরআন থেকে মানুষকে গাফেল করে যে জিনিস সে জিনিসের ব্যবসা হারাম এবং গুনাহের কাজ।আর গান শোনা বাজনা হারাম, গুনাহের কাজ এটি উপরোক্ত হাদিসেই উল্লেখিত।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
ইসলামে গান বাজনা প্রকাশ্য ভাবেই নিষিদ্ধ তথা হারাম। অন্যরা যদি গান বাজনা সাউন্ড বক্সে বাজায় এতে তাদের যে গুনাহ হবে সেই গুনাহ আপনার উপর-ও পতিত হবে। কেননা গুনাহ হওয়ার মাধ্যমটি আপনার নিজ হাতে গড়া।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ কতক মানুষ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশে অজ্ঞতাবশতঃ অবান্তর কথাবার্তা ক্রয় করে আর আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমানঃ ৬)

গান-বাজনার মাঝে কোন প্রকার উপকার-ই নেই, বরং তা মানুষকে পাপ কাজে উৎসাহিত করে এবং আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য ও শরীয়ত গর্হিত কাজে ধাবিত করে।

এখানে ক্রয় করার অর্থ হচ্ছে, গান-বাজনা শোনার উদ্দেশ্যে সে সব সামগ্রী যেমন রেডিও, টিভি, সিডি, ডিভিডি সাউন্ড বক্স ইত্যাদি ক্রয় করে নিয়ে আসা এবং তৃপ্তি সহকারে তার সুর ও ঝঙ্কার উপভোগ করা।

[তবে এসব দ্বারা ভাল কোন কিছু শুনে উপকৃত হওয়ার জন্য ক্রয় করলে অপরাধ হবে না।]

অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরগণের মতে গান, বাদ্যযন্ত্র ও অনর্থক কিসসা কাহিনীর যেসব বস্তু মানুষকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত থেকে গাফেল রাখে সেগুলো সবই।

ইবনে আব্বাস, ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-সহ প্রমুখ সাহাবীগণ বলেছেনঃ এ আয়াতটি গান বাজনার ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। (ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)

সহীহ বুখারী ও ইমাম বায়হাকী স্ব-স্ব গ্রন্থে এর এ তাফসীরই উল্লেখ করেছেন।

জনাব! জীবিকা নির্বাহের জন্য যেমন উপার্জন অপরিহার্য, তেমনি উপার্জনের জন্য হালাল পথ ও পাথেয় অবলম্বন এবং হারাম পথ ও পাথেয় বর্জন অপরিহার্য। যা হারাম তা প্রকাশ্য নাজায়েজ অর্থাৎ উক্ত মাধ্যম জায়েজ হবেনা।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। আর কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজেরই নির্দেশ দেয়।

তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারাঃ ১৬৮)
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ