বাড়ি ঘরে কুকুর ও বিড়াল পোষা নাজায়েজ।কারণ যে ঘরে কুকুর ও বিড়াল থাকে সেঘরে কখনও ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারে না।তথ্যসূত্রঃ সমকালীন জিজ্ঞাসার জবাব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শিকার করা, পশু রক্ষা বা ক্ষেত খামার, ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকর পোষা হারাম। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি শিকারি অথবা পশু-রক্ষক কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পোষে, তার নেকী থেকে প্রত্যেক দিন দুই কিরাত পরিমাণ সওয়াব কমে যায়। (রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৯৭ সহীহুল বুখারী ৫৪৮০) অন্য বর্ণনায় আছে, এক কিরাত সওয়াব কমে যায়। বিড়াল পোষা জায়েজ। বিড়াল পোষাতে কোন সমস্যা নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিড়াল পালা বৈধ। হাদিস শরিফে আছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। ' (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪৮২) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২) এ ছাড়া আরো কিছু হাদিস রয়েছে, যা থেকে বিড়াল পালা জায়েজ প্রমাণিত হয়। আর শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কুকুর পালা মারাত্মক গুনাহের কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ঘরে কুকুর বা (প্রাণির) ছবি রয়েছে তাতে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না’। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৪৯) আরেক হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা বা গবাদি পশু বা শস্যক্ষেত পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকুর পালে, তার প্রতিদিন দুই কিরাত পরিমাণ নেকি হ্রাস পায়। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৫৭৫) আর এ হাদিসের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো ফকিহ বলেছেন, ঘর-বাড়ি পাহারার প্রয়োজনেও কুকুর রাখা জায়েজ। এ সব প্রয়োজন ছাড়া কুকুর পালা জায়েজ নয়। বিশেষত বর্তমানে বিজাতীয় ফ্যাশনের অনুকরণে কুকুর পালার যে রেওয়াজ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ হারাম। (আলইসতিযকার ১/২০৩; ফয়যুল কাদীর ৩/৫২২; উমদাতুল কারী ১৫/১৯৮; শরহে মুসলিম, নববী ৩/১৮৬; মিরকাতুল মাফাতীহ ২/৪৫৬; ফাতহুল কাদীর ৫/৩৪৬; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৭৩; রদ্দুল মুহতার ৫/২২৭) সূত্র : মাসিক আল-কাউসার

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ