উত্তর দেয়ার আগে ইসলামে ভোটের অবস্থান কি তা জেনে নেই। কাউকে ভোট দেয়ার অর্থ তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করা যে, এই ব্যক্তি আমার নির্বাচনী এলাকায় একজন যোগ্য পদপ্রার্থী। ঠিক তেমনি ভাবে তার পক্ষে সুপারিশ ও করা হয় যে, এই ব্যক্তিকে আমাদের অঞ্চলের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হোক, কারণ তিনি একজন যোগ্য পদপ্রার্থী। এবং এও আবেদন করা হয় যে, তাকে আমাদের পক্ষ হতে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা হোক কারণ তিনি একজন যোগ্য পদপ্রার্থী। উপরোল্লেখিত তিনটি বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা হল সবগুলো যেন বাস্তব সম্মত হয়। সাক্ষ্য প্রদান বিষয়ে কোর‌আনের নির্দেশনা হল; সূরা আল মায়েদাহ:8 - হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত। এবং সুপারিশের বিষয়ে কোর‌আনের নির্দেশনা হল; সূরা আন নিসা:85 - যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। আর যৌথ বিষয়ের প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলাম তো সৎ, নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ প্রদানের কথা বলবে। উপরোল্লেখিত তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করলে ভোট মানুষের কাছে যে আমানত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।আর আমানত বিষয়ে কোর‌আনের নির্দেশনা হল; সূরা আন নিসা:58 - নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী। সুতরাং ভোট প্রদানের জন্য টাকা নেয়ার অর্থ হল আমানত আদায়ের জন্য অর্থ নেয়া যা ঘুষের নামান্তর, তাই তা হারাম। আবার প্রার্থী যদি অযোগ্য হয়, তাহলে তো তা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করার জন্য অর্থ নেয়া হবে যা স্পষ্ট হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ