আমরা তিন ভাই কোন বোন নেই, আমার বড় চাচীর দুই মেয়ে কোন ছেলে নেই, আমরা ছেলে বলে তিনি আমাদেরকে দেখতে পারেননা, এই কারণে কুড়ি বছর আমার মা এবং আমাদের পেছনে লেগে আছেন, সব সময় আমাদের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা প্রকাশ করেন, তিনি এটাই বলতে চান যে পুরুষের জাতটাই খুব খারাপ এবং আমাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন, সন্তানসন্ততির বিন্যাসতো আল্লাহ ই করেন, তিনি আমাদের সাথে কথা বলেননা, সালাম দিলে উত্তর দেননা বরং অযৌক্তিক কারণে ঝগড়া করেন এবং সালামের খোটাও দেন, এক সাহাবা একটি হাদিস অমান্য করার কারণে তার পুত্রের সাথে সারা জীবন কথা বন্ধ রেখেছিলেন, বিদআত ও পাপকাজ প্রকাশের ক্ষেত্রে এটি জায়েজ, আল্লাহর বিন্যাসকে ঘৃণা করে তিনি কী পাপ কাজের প্রকাশ করছেন না? আমি প্রচণ্ড টেনশনে আছি, তিনিতো আমাদের দেখতেই পারেননা, আমার প্রশ্ন তার সাথে কাথাবন্ধ আছে এটি কী আমাদের জন্য জায়েজ হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হাদীস:হযরত আবু আইয়ুব আনসারি(রাঃ)হতে বর্নিত,রাসূল (সঃ)ইরশাদ করেন,কোন মুসলমানের জন্য এটা বৈধ নয় যে,সে তিন দিনের বেশি সময় অপর কোন মুসলমান ভাইকে বর্জন বা ত্যাগ করে।অর্থাৎ,তারা কোথাও একে অপরের সম্মুখীন হলে একজন এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অপরজন ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।অন্তর তাদের দু'জনের মধ্যে সেই ব্যাক্তিই উত্তম,যে প্রথমে সালাম দেয়।(বুখারি ও মুসলিম)।।সুতরাং হাদীসের ভাস্য অনুযায়ী আপনার উচিত হবে,তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাকে দেখলে সালাম দেয়া।।এই হাদিসটির তথ্য সূত্রঃ পাঠ্যপুস্তক,হাদীস শরিফ,বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড,ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি আপনার চাচির সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন, কেননা যে ব্যাক্তি আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখেনা সে ব্যাক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। আপনাকে আপনার চাচি না দেখতে পারলেও আপনি তাকে বিপদে সাহায্য করুন, বিভিন্ন ভাবে উপকার করুন দেখতেন আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ