না। অমুসলিম নারীকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না, যতক্ষণ না তাঁরা ঈমান আনে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "অর্থঃ আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে....।" (সুরা বাকারা, আয়াত নং ২২১)। অংশীবাদী রমণী' বা মুশরিক নারী বলতে এখানে মূর্তিপূজক নারীদেরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা, আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান) নারীদের সাথে বিবাহ করার অনুমতি কুরআন দিয়েছে, যদি তাঁরা ইমান অনায়ন করে। অবশ্য কোন মুসলিম নারীর বিবাহ কোন আহলে কিতাব পুরুষের সাথে হতে পারে না। পরন্তু উমার (রাঃ) কোন সৎ উদ্দেশ্যেও ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান নারীদের সাথেও বিবাহ পছন্দ করতেন না। (ইবনে কাসীর)। আলোচ্য আয়াতে মু'মিনদেরকে কেবল ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের পরস্পর বিবাহ দেওয়ার উপর তাকীদ করা হয়েছে এবং দ্বীনকে দৃষ্টিচ্যুত করে কেবল রূপ-সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বিবাহ করাকে আখেরাতের জন্য বরবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছে। হাদীসে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন যে, "চারটি জিনিসের ভিত্তিতে মহিলাদেরকে বিবাহ করা হয়; মাল, বংশ এবং সৌন্দর্য ও দ্বীনের ভিত্তিতে। তোমরা দ্বীনদার মহিলা নির্বাচন কর।" (বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬নং)। অনুরূপ তিনি পুণ্যময়ী সৎশীলা মহিলাকে দুনিয়ার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ গণ্য করেছেন। তিনি বলেন, "সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল পুণ্যময়ী নারী।" (মুসলিম শরীফ)। তাই, উপরোক্ত আয়াত এবং হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী বলা যায়, অমুসলিম নারীকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিবাহ করা যাবে না, যতক্ষণ না তাঁরা ঈমান আনবে।
আপনি হয়ত মুসলিম না।যা আপনার নাম দেখে অনুধাবণ করেছি মাত্র।তো আপনি কুরান হাদিস বুঝবেন না।তাই আপনার জন্য কিছু কথাঃ#বিড়ালের সাথে কুকুরের মিলন হতে দেখেছেন ? উত্তর না।কারণ বিড়াল এক ধরণের প্রাণি কুকুর এক ধরণের প্রাণি। তো মুসলমানদের এক ধরণের কর্মসূচি অন্য ধর্মের আরেকরকম কর্ম সূচি।মুসলমানদের যেটা করা যাবে না সেটা অন্য ধর্মে প্রচলন আছে।আর তাই মুসলিমদের অমুসলিমদের বিবাহ আল্লাহ(আমাদের সৃষ্টিকর্তা)হারাম করে দিয়েছে।