আমার বয়স ২২। অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ি। আমি একজনকে ভালোবাসি।  আমরা প্রেম করতাম। কিছুদিন যাবত ধর্মের বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা আর এই সম্পর্ক রাখব না। কিন্তু আমরা একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে আমরা কোন যোগাযোগ করবনা এবং আমরা যার যার মতো নিজের পরিবারকে বুঝাব, এবং আমাদের বিশ্বাস আল্লাহর রহমতে আমরা আমাদের পরিবারকে মানাতে পারব। এরপর আল্লাহ যদি চান আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করব, ইনশাল্লা।   ও আমার সাথেই পড়ে।  তাই মাঝে মাঝে কোন দরকার পড়লে সে আমাকে মেসেজ দেয়। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি যে এটাও করব না। কোন যোগাযোগই করবনা। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমরা কি এখনও অবৈধ সম্পর্কের সাথে লিপ্ত আছি? আমরা কি পাপের সম্পর্ক থেকে বের হতে পেরেছি? দয়া করে স্পষ্টভাবে আমার প্রশ্নটার একটা উত্তর দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার সিদ্ধান্ত একদম ঠিক।  এতে আপনার কোনো পাপ হচ্ছে না। আমার মনে হয়,  আপনার মতো এরকম ভাবনার মানু্ষ অনেক কম আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রথমেই আপনাদের প্রশংসা করতে হবে আপনাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।যাইহোক এবার আপনার প্রশ্নের উত্তরটি দেওয়ার চেষ্টা করি।। সব পাপের সবচেয়ে বড় প্রায়শ্চিত্ত হলো নিজের ভূল বুঝতে পারা।আপনারাও ঠিক একই কাজ করেছেন।তাই আমি মনে করি আপনারা একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও পাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না যে আল্লাহ আপনাদের ভুলটি ক্ষমা করেছেন কিনা কিন্তু এটা ঠিক যে আপনাদের সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ariy

Call

আল্লাহ তায়ালা বলেন আদম সন্তান সবাই গোনাহগার কিন্তু গোনাহগার দের মধ্যে তারা উত্তম যারা তওবা করে ও স্বীয় রবের ইবাদাত করে।আপনি যেহেতু নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করেছেন সেহেতু আল্লাহ পাকের ওপর ভরসা রাখেন।ইনশাআল্লাহ আল্লাহ পাক আপনাকে ক্ষমা করবেন।আপনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে মাফ করে দেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এরকম সিদ্ধান্তের জন্য শুরুতেই আপনার সমাদর প্রকাশ করছি। যে ব্যক্তি ভুল কাজ-কর্ম থেকে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তাঁর জীবনের সমস্ত গুনাহ মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন৷ এ সম্পর্কে তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, ‘যে তওবা করে পাপ থেকে আমার পথে ফিরে আসবে এবং ভালো কাজের চর্চা করতে থাকবে, তার পেছনের জীবনের গুনাহগুলো আমি নেক দিয়ে পরিবর্তন করে দেব। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াময়।’ (সূরা ফোরকান, আয়াত নং ৭০)।

চিন্তা করে দেখুন! আল্লাহ তায়ালা তাঁর গুনাহগার বান্দার প্রতি কত দয়ালু। পেছনের জীবনের গুনাহ তো মাফ করে দেবেনই, আবার সেসব গুনাহকে নেকেও পরিবর্তন করে দেওয়ার ওয়াদা দিচ্ছেন। এটা সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। বান্দা যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভুল পথ থেকে ফিরে আসে তখন আল্লাহর চেয়ে বেশি আর কে খুশি হবে বলুন!

মহোদয়! আপনি যেহেতু নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, তাই এখন থেকে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক জীবন গড়ার চেষ্টা করুন। আর, আল্লাহর কাছে তওবা করুন যে, এরকম কার্যকলাপ আর কখনো করবেন না। ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহ আপনাকে মাফ করে দেবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ