দেখুন ঐ মেলায় কোন প্রযুক্তি, কি বিষয়ে তারা বলেছিল তাতো বলতে পারবোনা তবে কার্বন ডাই অক্সাইডের অনেক উপকারী দিক আছে। যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে বেচে থাকে, ফুল ফলে সেই খাদ্য জমা রাখে যা মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীকুল খেয়ে বেচে থাকে। কাজেই কার্বন ডাই অক্সাইড না থাকলে জীবজগত ধবংস হয়ে যেত। কার্বন ডাই অক্সাইড আগুন নেভাতে সাহায্য করে তাই আমরা কলকারখানা, বড় বিল্ডিং এ সিলিন্ডারে এটি রাখি যাতে আগুল লাগলে বড় কিছু ঘটার আগে নিভিয়ে ফেলতে পারি। এই কার্বন ডাই অক্সাইড কেমিষ্ট্রি তে মানুষের অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে লাগে। শুনে অবাক হবেন যে অক্সিজেন আমাদের শ্বাসের জন্য অতি প্রয়োজন কিন্তু এটি বেশি হলে প্রচন্ড বিপদ। কারন আমরা জানি অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে। এবং অক্সিজেন এর অধিকাংশ বিক্রিয়া তাপউৎপাদী। আমরা যখন শ্বাস গ্রহন করি তখন ফুসফুসের এলভিওলাসে রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেন বিক্রিয়া করে অক্সিহিমোগ্লোবিন তৈরি করে। রক্ত এটি বহন করে কোষে নিয়া আবার অক্সিজেন মুক্ত করে ছেড়ে দেয় বলে আমরা তা কাজে লাগিয়ে বেচে থাকি। কিন্তু যখন হিমোগ্লোবিনের সাথে বিক্রিয়াটা ঘটে তখন এটি তাপউৎপাদী বিক্রিয়া করে। এবং সাধারন ভাবে এই বিক্রিয়া খুবই ধীর। যদি বাতাসের ৭৮ ভাগ নাইট্রোজেন ও আগুন নাশক কার্বন ডাই অক্সাইড না থাকত তবে এই বিক্রিয়া এত দ্রুত তীব্র ভাবে হত যে ফুসফুসে আগুন ধরে যেত। তখন ত জীবনের কেল্লাফতে......................... বুঝতে পারছেন নিশ্চয়। পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে যতটুকু আছে তা জীবনের জন্য অত্যান্ত অনুকুল বলেই জীব সৃষ্টি হতে পেরেছি(বিজ্ঞান মতে) কিন্তু তবুও বর্তমানে আমরা কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়া শংকায় আছি কারন তা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে মানুষের কৃত্রিম কর্মকান্ডের জন্য বেড়ে যাচ্ছে। ফলে ভারসাম্য নষ্ট হলে বিপদ।
কার্বন ডাই অক্সাইড একটি গুরুত্বপুর্ন পদার্থ। এর প্রকৃতিগত ভাবে বহুমুখী ব্যবহার ছাড়াও কৃতিম ভাবে ব্যফহার রয়েছে। জীবজগতের অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখতে এই পদার্থ অনুস্বীকার্য ভূমিকা পালন করছে। এটি গ্রীন হাউস গ্যাস হিসাবে কাজ করে পৃথিবীর তাপ শোষন করছে। কোথাও দুর্ঘটনা বসত আগুন লাগলে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার হচ্ছে আগুন দমন করার জন্য। এটি ব্যবহার করে জালানি শক্তি তৈরির কল্পনা করছেন বিজ্ঞানিরা। এজন্য এটি একটি গুরুত্বপুর্ন পদার্থ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।