চিংড়ি হচ্ছে অর্থপোডা পর্বের সন্ধিপদযুক্ত অমেরুদন্ডী প্রাণি। মাছ হিসাবে পরিগণিত হবে সেগুলোই যাদের মেরুদন্ড ও পাখনা আছে এবং ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য্য চালায়। চিংড়ির মেরুদন্ড নাই, এদের শ্বসন অংঙ্গ প্রকৃত ফুলকার মত নয়। এবং এদের সন্ধিপদ যুক্ত পা আছে যা মাছের বৈশিষ্ঠ নয়। তাই চিংড়ি মাছ নয়। তবে পানি থেকে পাওয়া প্রাণীজ সম্পদ গুলোকে অনেক ক্ষেত্রে মাৎসজাত বলা হয়। এই মাৎসজাত থেকে মাছ হিসাবে বহুদিন ধরে মুখে মুখে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে এখন অনেক ক্ষেত্রে মাছ শব্দটি জুড়ে দিয়া চিংড়ি মাছ বলা হয়।
চিংড়ি একটি সন্ধিপদী (আর্থ্রোপোডা) প্রাণী। স্বাদু জলের চিংড়ির গণ (Genus) প্যালিমন (Palaemon) এর বিভিন্ন প্রজাতিকে একত্রে চিংড়ী বলে। বিজ্ঞান মতে এটাকে পোকা আখ্যায়িত করলেও মূলত এটা একটা মৎসজাত প্রাণী৷ বিজ্ঞানের মত পরিবর্তনীয়৷ এখন তারা গবেষণা করে একটা বলছে, পরে আরেকটা বলবে; এটাই মানুষের গবেষণা৷ যেমন তারা কিছুকাল পূর্বে বলতো, পৃথিবী ঘোরে সূর্যের চারপাশে; সূর্য স্থির৷ অথচ এক্ষেত্রে কুরআন বলছে, সূর্য তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে৷ (সূরা ইয়াসীন) যাই হোক পরবর্তীতে তাদের মত পরিবর্তন করেছে৷
আবার কেউ বলছে, চিংড়ি বিচ্ছুর সাথে অনেকাংশেই মিলে যায়৷ আরো অনেক পোকার সাদৃশ্য রাখে৷ এজন্য এটা মৎসজাত প্রাণী নয়৷ আমি বলবো, তাহলে তো মানুষ বানরের সাথে হুবহু মিলে যায়৷ এই মিলে যাওয়ার কারণে যদি জাত ভিন্ন না হয়, তাহলে মানুষকেও তো মানুষ বলা যাবে না৷
কিন্তু শরীয়তের বিধান অপরিবর্তনীয়৷ সেখানে বলা হয়েছে মাছ সম্পর্কে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা যাকে মাছ বলবে তাই মাছ৷ আর তারা চিংড়িকে মাছ বলে৷ সুতরাং চিংড়ি মূলত মাছেরই অন্তর্ভুক্ত৷