বাবা মায়ের বকা খাইনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। স্বল্প মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে ছেলেদের এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই বলে আত্মহত্মা কোন সমাধান নয়। আর এটাই তো জীবন। এখান থেকে মানুষ বড় কিছু করার জিদ অর্জন করতে পারে ফলে সে সফল হয়। আমি বেশি কিছু বলব না , শুধু কয়েকটা কথা বলতে চাই তা হল, চেষ্টা করুন। মনকে শক্ত করুন বকা খাওয়া কিছুটা কমাতে বাবা মায়ের কথা শুনুন, তাদের কাজে সাহায্য করুন, অযথা বাজে কাজে বাইরে সময় নষ্ট করবেন না। বাবা মা বেশি বকা দেয় তখন যখন দেখে ছেলে রাস্তায়, মোড়ে অন্য ছেলেদের সাথে বাজে সময় কাটায়, বাড়িতে থাকেনা। বিড়ি সিগারেট ধরে, পাড়ায় অকাজের রিপোর্ট পায় তখন। কাজেউ এগুলো ছেড়ে দিন তাহলে বকুনি কমে যাবে। আর নিজে চেষ্টা করুন। যেহেতু এইচএসসি পড়েন তাই বড় কোন চাকরি এই মুহুর্তে পাবেন বলে মনে হয়না। কাজেই ছোট কাজকে গুরুত্বদিন, অসম্মান লাগবে। বন্ধু মহ্লল দেখলে লজ্জ্বা লাগবে এই বিষয় একদম পরিহার করুন, সকল কাজ সম্মানের। আপনি বরং বাবুগিরি করে আধারে চুরি করাই অসম্মানের কাজ। আপনি সেনা বাহিনীতে দাড়াতে পারেন। আর খুব ভাল করে পড়া শুনা করেন। এইচএসসি পাস করলে ভাল চাকরিতে এপলাই করতে পারবেন। মনে রাখবেন নিয়মিত পড়াশুনা না করলে বা রেজাল্ট খারাপ, টেনে টুনে পাস এমন হলে তো বাবা মা কাজের জন্য বকুনি দেবেই। কাজেই আত্মহত্যার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। বই পড়ুন।
ভুল করেও আপনি আত্নহত্যা করার কথা ভাববেন না।কারণ আত্নহত্যাকারী সরাসরি জাহান্নামে প্রবেশ করবেন।আপনার সমস্যার কথা আপনার মা বাবা না বুঝলেও একজন আছেন যিনিই একমাত্র পারেন আপনার এসব সমস্যার সমাধান করে দিতে।আপনি গভীর রাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত পড়বেন এবং মুনাজাতে আমাদের রব আল্লাহকে আপনার সকল অভিযোগ,সমস্যার কথা জানান।আপনার চোখের অশ্রুর মুল্য দুনিয়ার কেউ না দিলে আল্লাহ তায়ালা ঠিকই দিবেন। আশা করি আল্লাহ আপনার সকল সমস্যা সমস্যা করে দিবেন।