প্রথমত ছেলে ছেলে কে বিবাহ করা হারাম।আর তা কখনো (অতিতে)জায়েয ছিল না। এখনো (বর্তমানেও)যায়েজ নেই।আর ভবিষ্যতেও যায়েজ হবেনা।কারণ যদি দুটি ব্যাট থাকে কিন্তু বল না থাকে তখন কি ক্রিকেট খেলা সম্ভব? উত্তর হবে না ক্রিকেট খেলতে ব্যাট বল দুটিই লাগবে।।অনুরূপ ভাবে পুরুষ লিঙ্গ দুজনের আছে কিন্তু স্ত্রী লিঙ্গ নেই।তাই এটি বাস্তবতা থেকে ও মেনে নেয়া যায়না।আর পুরুষ পুরুষ বিবাহ করলে আজিবনেও সন্তান জন্ম দিতে পারবেনা।আর নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের জন্য।আর যদি পুরুষে পুরুষে বিবাহ করা সঠিক,যুক্তিগত,যথাযথ হত তাহলে আল্লাহ তাআলা আদম আঃএর জন্য হাওয়া আঃ কে তৈরি করতেন না।একটা পুরুষ তৈরি করতেন। আমরা সকলে জানি যে মহাজ্ঞানী আল্লাহ(তার চেয়ে বড় কোনো জ্ঞানি নেই) তাই মহান আল্লাহর কথাটিই সঠিক যুক্তিসংগত, যথাযথ অর্থ্যৎ নারি নারিকে এবং পুরুষ পুরুষ কে বিবাহ করতে পারবেনা।
ছেলে ছেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ইসলামে একেবারেই নিষেধ বা হারাম। কেননা, ছেলে ছেলে বিবাহ করলে সেটা সমকামিতার আওতাভুক্ত। আর সমকামিতা নিয়ে রাসূল (সঃ) বলেছেন, "তোমরা যে মানুষকে লূত সম্প্রদায়ের কুকর্মে (সমকামিতায়) নিয়োজিত পাবে, সেই কুকর্মকারীকে এবং যার সাথে কুকর্ম করা হয়েছে তাকে মেরে ফেলবে। (জামে' আত-তিরমিজি, হাদীস নং ১৪৫৬)। রাসূল (সঃ) সমকামিতা সম্পর্কে আরো বলেছেন, "আমি যে কুকর্মটি আমার উম্মাতের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক ভয় করি তা হল লূত সম্প্রদায়ের কুকর্ম তথা সমকামিতা ৷" (ইবনু মা-জাহ (২৫৬৩)। আল্লাহ তায়ালা সমকামিতা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে, যখন সে তার কওমকে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল (সমকামিতা) কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি? আর তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম।" (সুরা আরাফ, আয়াত নং ৮০-৮১)। সমকামিতা ব্যভিচারের শাস্তির ব্যাপারে ইমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। কেও বলেছেন, অপরাধী যদি বিবাহিত হয়, তবে 'রজম' তথা পাথর মেরে হত্যা করা এবং অবিবাহিত হলে একশ' বেত্রাঘাত। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এর শাস্তিই হল 'রজম' করা, তাতে অপরাধী বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত। কারো কারো মত হল, কর্তা ও কৃতরমন উভয়কেই হত্যা করে দেওয়া উচিত।
ইসলামে বিবাহ হলো নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি। যা নারী এবং পুরুষের মধ্যেই সংঘটিত হয়। এবং বিবাহের মাধ্যম-ই হলো নারী ও পুরষ। ইসলামে বিয়ের রুকন বা খুঁটি তিনটিঃ একঃ বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ প্রতিবন্ধকতা হতে বর-কনে উভয়ে মুক্ত হওয়া। দুইঃ ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে পেশকৃত প্রস্তাবনামূলক বাক্য। তিনঃ কবুল বা গ্রহণ: এটি বর বা বরের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সম্মতিসূচক বাক্য। বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার কিছু শর্ত রয়েছেঃ একঃ বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে দেখিয়ে নেয়া। দুইঃ বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। তিনঃ বিয়ের চুক্তি করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। চারঃ বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। পাঁচঃ বুদ্ধিমত্তার পরিপক্কতা থাকা। এটি হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে সমতা কুফু ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতা। ইত্যাদি। উপরিউক্ত আলোচনা এই বলে যে, ছেলে ছেলে বিবাহ করা যায় না।