ip=internet protocol আইপি এড্রেস হচ্ছে ইন্টারেনেটে কানেক্ট যোগ্য প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের একটি পরিচয় বা ঠিকানা যা দ্বারা ঐ ডিভাইসকে সনাক্ত করা যায়। একটি উদাহরন দিয়া ক্লিয়ার করি, ধরুন আপনার নাম করিম। এখন আমি আপনাকে একটি চিঠি পাঠালে তা আপনার কাছে যাবেনা কারন পিয়ন আপনাকে চেনেনা, আপনার ঠিকানা জানেনা, আন্দাজে কোথায় চিঠি যাবে। কিন্তু আপনি যদি বাবার নাম, গ্রাম,পোস্ট, থানা ইত্যাদি উল্লেখ করেন তাহলে আমি তা লিখে দিলেই চিঠি যাবে। ঠিক তেমনই আপনার ফোনের আইপি আপনার ফোনকে সনাক্ত করে তাতে ডেটা পাঠায়। যেমন আপনি যখন বিস্ময়ে এই উত্তরে ক্লিক করেছিলেন পড়ার জন্য তখন আরও বহু মানুষ অন্য পেজে ক্লিক করেছে। এখন এই বিস্ময় সার্ভার সকলের কাছে তাদের ক্লিক করার তথ্যটি পাথাবে একই সাথে। এখন যদি আপনার ফোনে আইপি না থাকত তবে কার ক্লিজের পেজ কার কাছে যেত তার ঠিক নাই। কিন্তু আইপি থাকায়। প্রোটোকল ডেটাকে আইপি নাম্বার অনুযায়ী সঠিক ভাবে পাঠায়। কাজেই এক কথায় আইপি এড্রেস দ্বারা ডিভাইসটির পরিচয় ও সনাক্তকরন এড্রেস বোঝায়। (আইপি টেকনিকালি কিভাবে কাজ করে তা কিন্তু এখানে বোঝাইনি,সাধারন ভাষায় আইপি কি করে তাই বুঝিয়েছি।)
ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি ঠিকানা থাকে। এ ঠিকানাকে বলা হয় "আই পি এড্রেস (IP Addres)। তথ্য আদান-প্রদানে সাধারণত IP Address ব্যবহৃত হয়ে থাকে। IP Address এর সাহায্যে নেটওয়ার্কভূক্ত লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার পৃথকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়৷ সাধারন ব্যবহারকারীগণ IP Address এর মাধ্যমে তথ্যবলি গ্রহণ ও প্রেরণ করে থাকেন৷ IP Address এর দুইটি ভার্সন 'IPV4' ও 'IPV6' চালু আছে। 'IPV4' সিস্টেমে প্রতিটি IP Address কে প্রকাশের জন্য ৩২বিট প্রয়োজন হয়। ৩২টি বিট ৪টি অকটেডে ভাগ করা থাকে। প্রতিটি অকটেড ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। IP Address এর প্রথম দুইটি অকটেড (প্রথম ১৬ বিট) নেটওয়ার্ক আইডি (Network ID) এবং পরের দুইটি অকটেড (পরবর্তী ১৬ বিট) হোস্ট আইডি (Host ID) এর জন্য ব্যবহৃত হয়। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে বর্তমানে 'IPV6' নামে ১২৮বিট IP Address চালু আছে।