এসব মেসেজের কোনো ভিত্তি নেই। কিছু মানুষ অকারণেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব মেসেজ ছড়াতে শুরু করে।
রমজানের বিষয়টি নিয়েই বোঝায় যায় যে কোনদিন রমজান শুরু হবে তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। কারণ হিজরি মাসগুলি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল, তাহলে আগে থেকে কবে চাঁদ উঠবে এ কথা আল্লাহ ছাড়া আর কারো জানার কথা নয়।
এ ধরনের আরো মেসেজ রয়েছে, যেগুলোতে বলা হয় এই মেসেজ এতজনকে পাঠালে সুসংবাদ পাওয়া যাবে। না পাঠালে দুঃসংবাদ। এরকম হেনতেন বহু মেসেজ প্রতিদিন পাওয়া যায়।
এসবে বিশ্বাস করলে তা স্পষ্টতঃ কুফরির অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ আল্লাহ তায়া বলেছেন-
আর তাঁর কাছে রয়েছে গায়েবের চাবিসমূহ, তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না।” (সূরা আনআমঃ ৫৯)
এ বিষয়ে আরো বলা হয়েছে-
আমি আমার নিজের কোন উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতা রাখি না, তবে আল্লাহ যা চান। আর আমি যদি গায়েব জানতাম তাহলে অধিক কল্যাণ লাভ করতাম এবং আমাকে কোন ক্ষতি স্পর্শ করত না। আমিতো একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা এমন কওমের জন্য, যারা বিশ্বাস করে’। (সূরা আরাফঃ ১৮৮)
এছাড়া এসব মেসেজে এমনও থাকে যে এই মেসেজ পাঠালে জান্নাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা বিশ্বাস করা তো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ নবি(সঃ) বলেছেন-
আমি তোমাদের যা কিছু করতে বলেছি সেই সব ব্যতীত আর কোন কিছুই তোমাদের জান্নাতের নিকটবর্তী করবে না, এবং যে সকল বিষয়ে সতর্ক করেছি সেগুলো ব্যতীত কোন কিছুই তোমাদের জাহান্নামের নিকটবর্তী করবে না”। (মুসনাদে আস শাফেয়ীই এবং অন্যান্য)
সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে এসব মেসেজ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এসবে বিশ্বাস করলে আপনি গুনাহগার হবেন।