১. ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻮَﺍﺻِﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻮْﺹِﻟَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻮَﺍﺷِﻤَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻮْﺵِﻣَﺔَ যেসব মহিলা নকল চুল ব্যবহার করে এবং যারা অন্য মহিলাকে নকল চুল এনে দেয়, যেসব মহিলা উল্কি অঙ্কন করে এবং যাদের জন্য করে, রাসূল স. তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। (বুখারী : ৫৫৯৮, মুসলিম : ৫৬৯৩)
ইসলমী শরীয়ত মতে ট্যাটু করা জায়েয নয়। কারণ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের কাজে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতি মহান আল্লাহ তাআলা অভিসম্পাত করেন এমন সংবাদ প্রদান করে বলেন, মহান আল্লাহ উল্কি অংকনকারীনি ও অংকনকৃত মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। -সহীহ মুসলিম : হা. ২১২৫, সহীহ বুখারী : হা. ৪৮৮৬।
عن عبدالله قال : لعن الله الواشمات والمستوشمات... (الصحيح لمسلم و الصحيح للبخاري (
ইসলামে ট্যাটু করা যায়েজ নয়। যে নিজেকে সুন্দর করার অভিলাষে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতির পরিবর্তন ঘটায় তাদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন। আবূ জুহাইফাহ হতে বর্ণিত যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রক্তের মূল্য, কুকুরের মূল্য ও যিনাকারীর উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি অঙ্কণকারী আর যে তা করায় এবং ছবি নির্মাতাকে অভিশাপ করেছেন। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৫৯৬২) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্যে উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী, ভ্রূ উত্তোলনকারী নারী এবং দাঁত সরু করে মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। রাবী বলেন আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহর রাসূল অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৫৯৪৩)