শরীর ঠিক মতই আছে তবে ভুড়িটা একটু বেশি। কমানোর চেষ্টা করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ রেখেছি কম কম খেয়েছি লাভ হয়নি। অনকে ওয়েবসাইটে এই নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছি কিভাবে কমানো যায় কিন্তু সঠিকভাবে হবে কিনা আসলেই তথ্য সঠিক কিনা এই নিয়ে সন্দেহ হয়ে বদ দিয়ে দিয়েছি ভুড়ি কমানোর ব্যপার। কিন্তু এখন কমাতেই হবে কেউ সহজ কিছু উপায় বলুন যাতে ১ বা ২ মাসের মধ্যেই কমাতে পারি। আর মুরগির মাংসোটা আমার খুবই পছন্দের ছাড়তে পারিনা তাই এটার জন্য কি ভুড়ি কমানো অবস্থায় খেলে সমস্যা হবে কিনা?                          
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি এতকিছু করেও যেহেতু তা কমাতে পারেন নি তাই আমি মনে করি আপনি ডাক্তেরের পরামর্শ নিন যাতে আপনি বেশি উপকৃত হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভুড়ি কমাতে হলে খাওা-দাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া উচিৎ হবে না। তাহলে শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে না এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দিবে। আপনাকে মূলত খাবার নিয়ন্ত্রিতভাবে খেতে হবে এবং নিয়মিয় ব্যায়াম করতে হবে। খাবারের বিষয়ে আসলে শর্করা কিছুটা কমাতে হবে। মিষ্টিজাতীয় এবং কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে। চকোলেট, ফাস্ট ফুডও যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। তেল-চর্বি জাতীয় খাবার সামান্য পরিমাণে খাবার অভ্যাস করুন। মুরগির মাংস আপনাকে ছাড়তে হবে না। রেডমিট ছেড়ে দিন, তাহলেই হবে। তবে ব্রয়লার বা ফার্মের মুরগি কখনো খাবেন না। দেশী মুরগি প্রতিদিন ২ পিস খেতে পারেন, এতে শরীরে পুষ্টি চাহিদা অনেকাংশ পূর্ণ হবে। আর প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করবেন এবং একটি ডিম খাবেন। ভাত অল্প পরিমাণে এবং এক বেলা খাবেন। সকালে, রাতে রুটি খাবেন তাও ২টির বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি যেটি আপনার খেতে হবে সেটা হলো সবজি। শীতকালীন রঙিন সবজি প্রচুর পরিমাণে খাবেন। অবেলায় খিদা লাগলে আপনি নরমালি যে নাশতা করেন তার পরিবর্তে শসা, টমেটো, গাজর ইত্যাদির সালাদ খাবেন। তিনবেলাই এক বাটি অল্প তেলে রান্না করা সবজি খাবেন। ব্যায়ামের বিষয়ে আসলে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ব্যায়াম করবেন। ভোর বেলা উঠে ১ ঘণ্টা এবং বিকালে ১ ঘণ্টা করে। প্রথম অবস্থায় শুধু হাঁটবেন। সময় মেপে শুধু হাঁটলেই কাজে লাগবে। সাতার জানলে দুপুরে পুকুরে নেমে যাবেন এবং সাতার কাটবেন। সাইকেল থাকলে বিকালে সাইকেল চালাবেন। সাতার এবং সাইকেল চালানো ভুড়ি কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। কিছুদিন পর থেকে হালকা গতিতে দৌঁড়াবেন। এভাবে আস্তে আস্তে একটু ব্যায়াম করবেন। এসব নিয়ম অনুসরণ করে কয়েক মাস অপেক্ষা করুন। ফলাফল অবশ্যই পাবেন। কিন্তু এগুলো যেন কয়েকদিন করেই হাঁপিয়ে উঠবেন না, নিয়মিত করবেন। একদিনও বাদ দিবেন না, বাদ দিলে অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমি এর জন্য একটা পানিয় দিচ্ছি,তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন,আশা করি কাজ হবেঃ- পানীয়টি তৈরি করতে যা যা লাগবে : *কলা : ১টি *কমলা/মাল্টা : ১টি *লো ফ্যাট টক দই : আধা কাপ *নারকেল তেল : ১ টেবিল চামচ *আদা : সামান্য *তিসিবীজ : ২ টেবিল চামচ *মাঠা : ৫ টেবিল চামচ যেভাবে তৈরি করবেন : সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে নিয়ে খুব ভালো ভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সব উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়। তারপর সেটি তৈরির পরপরই খেয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ঠিক সাতদিন খেয়ে দেখুন পরিবর্তন। সাবধানতাঃএরপর কাজ না হলে আপনি ডাক্তার দেখান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

শরীরের এই বাড়তি মেদ কিভাবে দূর করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায়-

প্রতিদিন তিন কোয়া রসুন

চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না

মশলা খান

মাংস থেকে দূরে থাকুন। তবে খেতে হলে পরিমিত পরিমান এবং চর্বি মুক্ত মাংস খেতে পারেন।

পর্যাপ্ত ঘুমান

প্রচুর পানি পান করুন

প্রতিদিন ফল ও সবজি খান

আঁশজাতীয় খাবার খান

হাঁটুন বা সাইকেল চালান

প্রোটিন জাতীয় খাবার বাদ দেবেন না। যেমন: ডিম, মাংস, মাছ ইত্যাদি প্রোটিনের অন্যতম উত্‍স। ওজন কমানোর সময়েও এসব খাবার শরীরের প্রয়োজন। তবে আপনি যদি নিরামিশাষী হন তাহলে পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে অনুরূপ পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে পারেন।

শিল্পকারখানায় প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বাদ দিন। তার বদলে স্বাস্থ্যকর তাজা ফলমূল ও খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ক্র্যাশ ডায়েট নয়ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়া করে ক্র্যাশ ডায়েট বাদ দিন। এতে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

আবেগগত খাবার বাদ দিনশারীরিক প্রয়োজনে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে খাবার খান। তার বদলে মানসিক সন্তুষ্টির জন্য, লোভের বশে কিংবা খাবারের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বাড়তি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

 আশা করি দেখবেন আপনার মেদ নিমেষেই শেষ। আর আপনি মেদহীন স্বাস্থ্য লাভ করছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ