যৌতুক সুদ বা ঘুসের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা সম্পূর্ণ পৃথক একটা জঘন্য অন্যায়।
শরীয়তে এর শাস্তি ইসলামী রাষ্ট্রের বিচারপতি যেটা নির্ধারণ করবেন তাই।
বাংলাদেশের আইনে যৌতুকের শাস্তি
যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন- ১৯৮০ এর ৩ ও ৪ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যৌতুক প্রদান বা সহায়তা করলে, নিলে বা দাবী করলে অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী সাধারণ জখম করার জন্য অনধিক তিন বছর কিন্তু অন্যূন এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মারাত্মক জখম করার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ১২ বছর কিন্তু অন্যূন ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মৃত্যু ঘটানোর জন্য বা ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উভয়ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যৌতুক সুদ বা উৎকোস কোনটিই নয়। বরং এটি অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ হস্তগত করা। ইসালামে অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না...। [ সূরা বাকারা: ১৮৮ ]
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা আমার দেওয়া রিযিক থেকে হালাল জিনিষ ভক্ষণ কর। -সূরা বাকারা: ১৭২
অন্যদিকে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অত্যাচারি রোজ কিয়ামতে ঘোর অন্ধকারে থাকবে। -সহীহহ বুখারী; হা. ২৪৪৭, সহীহ মুসলিম; ২৫৭৯