পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ। -সূরা আরাফ: আয়াত ১৭৯
বি.দ্র. উক্ত আয়াতে কুকুরের কথা স্পষ্ট নেই।
একজন মানুষ কখন কুকুর সমতুল্য হয়! এরকম উপমা কুরআন-হাদীসে কোথাও নেই। পবিত্র কোরআনের বানীঃ তুমি কি মনে কর যে, ওদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? ওরা তো পশুরই মত বরং ওরা আরও অধম। (ফুরকানঃ ৪৪) আল্লাহ তাআলা বলেন যে, এরা হচ্ছে চতুস্পদ জন্তুর চেয়েও অধম। কারণ চতুষ্পদ জন্তুকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে তা তারা শুনে ও মেনে চলে। কিন্তু এ সকল মানুষ তাদেরকে যে উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে শির্কী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে। তাই ওরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এরা কারা! বা একজন মানুষ কখন পশু সমতুল্য হয়? কাফিররা চতুষ্পদ জন্তু বরং তার চেয়ে বেশি পথভ্রষ্ট। কেননা চতুষ্পদ জন্তু তার জন্য কোনটা কল্যাণ আর কোনটা ক্ষতিকর সব দেখতে পায় এবং রাখালের অনুসরণ করে চলে আর এসব কাফিররা এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর বিপরীত। ভাল-মন্দ কিছুই বুঝার চেষ্টা করে না এবং কুরআনের গাইড লাইন অনুসরণ করে না। তাই সকল মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত নয়। কেবল মুমিন মুসলিমরাই আশরাফুল মাখলুকাত। কারণ যারা কাফির তাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা চতুষ্পদ জন্তু বলছেন।