ইসলামে হালাল কাজের মাধ্যমে উপার্জিত জিনিস হালাল।সুদে মানুষ এটা এমনই পায়।আবার দেখুন টাকা দিয়ে যে টাকা পাওয়া এটা কীরকম?বিনা কাজে এবং বিনা আমানতে অতিরিক্ত টাকা কীভাবে হালাল?আর এই সুদ ব্যাংক ধনীদের আরও ধনী এবং ঋণ গ্রহণকারী গরিবদের আরও গরিব বানিয়ে দিচ্ছে।এত বৈষম্য কেন?ইসলাম সবার সমান অধিকার এবং শান্তি চায়।শান্তির মাঝে তো কখনও এরকম অশান্তি এবং বৈষম্য থাকতে পারে না।তাই ইসলাম সুদ সমর্থন করে না
সুদের কারবার ধনীকে ধনী করে তোলে আর গরীবদের আরোও ফকির করে তোলে।
ইসলাম যে বিষয়গুলোকে নিষিদ্ধ করেছে তার একটিও মানব জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। তা কোনো না কোনোভাবে জাতির জন্য ভীষণ ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। যা আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা বুঝতে পারি না। আর এ স্বল্প জ্ঞানে আল্লাহর আইনকে যুক্তির আদালতে দাঁড় করানোর চেষ্টাও কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
সুদ অর্থকে ধ্বংস করে ও সাদকা বৃদ্ধি করে : অনেকের ধারণা, সুদভিত্তিক লেনদেনই পারে আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে কিংবা দারিদ্র্য বিমোচন করতে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এটি চরিত্র বিমোচন ও অশান্তি আনয়নের একটি মাধ্যম। একজন মানুষ যখন সুদের ঘানি টানতে টানতে বাস্তুভিটাহারা হয়ে যায়, সুদের চাপে দিশাহারা, ব্যবসায়িক পণ্যে যখন অধিক মূল্য বসে যায় তখন জৈবিক চাহিদা পূরণের সব উপকরণই মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। আর তখনই চরিত্রকে কবর দেওয়া ছাড়া মানুষের আর কিছুই করার থাকে না। বেড়ে যায় চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ঘুষ ইত্যাদি। এসবের মূলে রয়েছে সুদভিত্তিক লেনদেনের মাধ্যমে দ্রুত বড়লোক হওয়ার মিথ্যা স্বপ্ন। অথচ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে : আল্লাহতায়ালা সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং দান-সাদকাকে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহতায়ালা কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। (সুরা বাকারা, আয়াত ২৭৬)।