একজনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম, মাজহাবঃ হানাফী। মাজহাব বলতে কি বোঝায়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মুজতাহিদ হল কুরআন সুন্নাহ, সাহাবাদের ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ঐক্যমত্বে এবং যুক্তির নিরিখে কুরআন সুন্নাহ থেকে মাসআলা বেরকারী গবেষক দলের নাম। যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন। কুরআন সুন্নাহর একাধিক অর্থবোধক শব্দের নির্ধারিত পালনীয় অর্থকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন উদ্ভূত মাসআলার শরয়ী মূলনীতির আলোকে সমাধান বরে করেছেন। সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব।

বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাযহাব  হল ইসলামী ফিকহ বা ব্যবহারশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত এক একটি চর্চাকেন্দ্র। নবী মুহাম্মদ-এর ইসলাম প্রচারের পর আনুমানিক প্রায় দেড়শত বছরের মধ্যে অসংখ্য মাযহাবের উৎপত্তি হয়,  সময়ের সাথে সাথে সেগুলো বিবর্ধিত, বিভিন্ন স্থানে সম্প্রসারিত ও বিভাজিত হয়, কিছু আবার সীমিত চর্চার মাধ্যমে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।


মাজহাব মানে মতামত, বিশ্বাস, ধর্ম, আদর্শ, পন্থা, মতবাদ, উৎস..........মিসবাহুল লুগাত (থানবী লাইব্রেরী-২৬২ পৃষ্ঠা)
........
মাজহাব শব্দের অনেক অর্থ আছে। তার ভিতরে একটি হল মতামত।

ইসলামী ফেকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় কোরআন ও সুন্নায় যে সকল আহকাম ও বিধান প্রচ্ছন্ন রয়েছে সেগুলো চিন্তা-গবেষণার মাধ্যেমে আহরণ করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। 
যিনি ইজতিহাদ করেন তাকে মুজতাহিদ বলা হয়। 
একজন মুজতাহিদ কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান আহরণ করে এবং যে সকল মতামত পেশ করেছেন তাকে মাযহাব বলে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মাযহাব বংশ অথবা গোত্র এরকম কিছুর নাম নয়। মাযহাব শব্দের অর্থঃ হচ্ছে পথ বা চলার পদ্ধতি। ইসলামী ফেকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় কোরআন ও সুন্নায় যে সকল আহকাম ও বিধান প্রচ্ছন্ন রয়েছে সেগুলো চিন্তা- গবেষণার মাধ্যেমে আহরণ করাকে ইজতিহাদ বলা হয়। যিনি ইজতিহাদ করেন তাকে মুজতাহিদ বলা হয়। একজন মুজতাহিদ কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান আহরণ করে এবং যে সকল মতামত পেশ করেছেন তাকে মাযহাব বলে। মাযহাবের নামকরণ করা হয়েছে চার ইমামের নামে। যেমনঃ ইমাম আবু হানিফা (রহঃ), ইমাম মালেক (রহ), ইমাম শাফেয়ী (রহঃ), ইমাম আহমদ (রহঃ)। নোমান ইবনে সাবিত ইবনে যুতা ইবনে মারযুবান উপনাম ইমাম আবু হানিফা নামেই অত্যধিক পরিচিত, ছিলেন ফিকহশাস্ত্রের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবং হিজরী প্রথম শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ইসলামী ফিকহের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও পরিচিত চারটি সুন্নি মাযহাবের একটি “হানাফী মাযহাব”এর প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান এবং যে সকল মতামত পেশ করেছেন সেই মতামত যারা গ্রহন করেছেন তারাই “হানাফী মাযহাব” এর অনুসারী। উদাহরণঃ একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা অবস্থানকালে যোহর ও আসরের আট রাকাআত এবং মাগরিব ও ইশার সাত রাকাআত একত্রে মিলিয়ে আদায় করেন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, বাড়ীতে অবস্থানকালে কোন প্রকার ভয় বা বৃষ্টি না থাকলে এরুপ করা যাবে না। ইমাম শাফেয়ী, আহমাদ ও মালিক (রহঃ) বলেন, ওযর থাকলে, কিংবা সফরের অবস্থায় এরুপ মিলিয়ে পড়া যাবে। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর মতে পৃথক পৃথকভাবে আদায় করতে হবে। এক নিয়্যাতে একত্রে আদায় করা জায়েয নয়। এই যে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর একটি মতামত এই মতামত অঅনুযায়ী যারাই আমল করবে তারাই হানাফী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ