পরামর্শটা অবশ্যই ভাল, কিন্তু বিপরীতেও কিছু কথা থাকে যে কারনে আপত্তি করছি। ফেসবুক আইডি লিংক করলে কিছু কিছু পোলাপান স্পাম করে। কোন কাজ নাই মেসেজ করে চলে যাবে, কিছু জিজ্ঞাসা করবে তো পরে আর খোজ থাকবেনা, প্রশ্ন করলো আজ, উত্তর দিলাম আজ, সেই উত্তর দেখার টাইম তার কবে হবে কেইবা মালুম?
পিচ্ছি পোলাপান ভুল ইনফো দিয়া আইডি খুলে যা খুশি তাই করে, তারা এড করলে নিজের মর্যাদা নষ্ট হয়। আবার এমনও আছে খারাপ নয়, কিন্তু যত্তসব দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবশ্য দোষ তাদের নয়, দোষ বয়সের, মন মানসিকতার, যেমন কেউ একজন নান্টু বল্টু কৌতুক প্রিয়। সে কিছু শিশু সুলভ কার্তুন দিয়া জোক লিখে, পোস্ট করে, কেউ আবার পিরিতের সাতকাহন নিয়া ব্যস্ত, কেউ আবার ইমোশনাল প্রেমে ছ্যাকার গদ্য পদ্য,কাব্য ছড়া নিয়া আছে, কারও আবার ভাষা দেখলে খারাপ লাগে, কেউ কিছু নায়িকা, বা মেয়েদের ছবি নিয়া ব্যস্ত। তো আসল কথা হচ্ছে আমার যে বয়স, আমার যে মন মাবসিকতা, আমি জীবনের যে লেভেলে অবস্থান করছি তাতে এইগুলো জড়ানো উচিত না, আবার নিজেরও ওসব মানসিকতা নাই। আবার আমার সাথে যারা লিংক আছে তাদের কেউ এমন ইউজারকে আমার টাইমলাইনে দেখলে প্রশ্ন তুলে মজা করবে যে কাদের সাথে এখন? তখন রিপ্লাই করাটা বিব্রতকর। আর আমার মনে হয় এমন মানুষ শুধু আমি নই, আরও অনেকেই আছেন যারা শিশু সুলভ টিন এইজ টা পার করে এসেছেন। তাদের ক্ষেত্রে এমন বিড়ম্বনা আছেই।
লিংক করা নাই তাই কতজন আইডি চেয়ে উদাও, শুধু লিংক দিয়া বেকুব সাজা, কেউ আবার এড দিয়া, অনলাইনে কখন থাকেন বলে উদাও। তাই মনে হয় লিংক না করাটাই ভাল। যারা দায়িত্ববান, যারা যাকে জ্ঞানী বলে মনে করেন তারা ঠিকই তাদের সাথে যোগাযোগ করে আইডি নিয়া এড হয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন বলে বিশ্বাস।
সমস্যা টা কী জানেনঃ যদি ফেসবুক আইডির লিংক দিয় তাহলে বিস্ময় বাদে ফেসবুকে প্রশ্ন করতে শুরু করে। আমি যখন বিস্ময় এ প্রথম এসেছিলাম তখন আমার আইডি লিংক দেওয়া ছিল তখন ফেসবুকে প্রশ্ন করতো কোন কারণে উত্তর না দিলে বাজে ব্যাবহার করতো যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আর একটা মজার ব্যাপার হলঃ বিস্ময় এ তো ফেসবুকের মত অবাধ গল্প করা যায় না তবুও কিছু সদস্য আমাকে হাই,হেলো। তাদের নিজেদের ইমেল দিয়ে থাকে। এখন তারা যদি কোন ভাবে আমার ফেসবুক আইডি পাই তাহলে তো আমাকে জ্বালিয়ে মাছ ভাজা করে দিবে। আপনার প্রস্তাব টা ভালো কিন্ত কিছু সমস্যা ও রয়েছে।