Jamiar

Call

ব্যক্তি যখন মুক্তাদী হয়, তখনো কি তার নামায সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা সাথে না মিলালে তার নামায হবে না? লা-মাযহাবীরা বলেন, মুক্তাদী সূরা ফাতিহা না পড়লে তার নামায হবে না, কিন্তু মুক্তাদী যদি সূরা ফাতিহার পর সূরা না মিলায় তাহলে তার নামায হয়ে যাবে।তখন ইমাম যে সূরা মিলাবে, তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যাবে। আমরা বলি মুক্তাদীর কোন কিরাতই পড়তে হবে না। কারণ ইমামের কিরাতই মুক্তাদীর কিরাত। ইমাম সূরা ফাতিহার পর বাকি সূরা মিলালে যেমন তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যায়, তেমনি সূরা ফাতিহা পড়লেও তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যাবে। মুক্তাদীর আলাদাভাবে সূরা ফাতিহা ও পড়তে হবে না, সেই সাথে অতিরিক্ত সূরাও মিলাতে হবে না। কারণ তিলাওয়াত করলে পিছনে চুপ থাকার নির্দেশ পবিত্র কুরআনে যেমন এসেছে, তেমনি সহীহ হাদীসেও এসেছে। সেই সাথে ইমামের সকল কিরাতই মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট হয় মর্মে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ، فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ» হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের কিরাত মানেই হল তার কিরাত। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৫০, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১২৯৪,মুজামে ইবনুল আরাবী, হাদীস নং-১৭৫৫,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৩৩,মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২৭৯৭,মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীসনং-৩৭৬৪, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-২৮৯৭, মুসন্নাফ ইবনে আবীশাইবা, হাদীস নং-৩৭৭৯, মুসনাদে আবীহানীফা, হাদীস নং-২৫}

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ফরজ নামাজে ঈমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় ফাতিহা ও কিরাআত পড়তে হবে না। নামাজের মধ্যে চুপি চুপি সুরা ফাতিহা পাঠ করা উত্তম তবে কিরাআত পড়া যাবেনা। এ ব্যপারে পড়া না পড়া চুপ থাকা সব ধরনের হাদিস-ই রয়েছে।


ইমাম যখন কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। 


জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাদের ইমাম আছে ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮৫০)


আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হল না। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৭২০)


ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ কেউ যদি সালাতে উম্মুল কুরআন তথা সুরা ফাতিহা না পড়ে, তবে তার সালাত হবে না। কিন্তু ইমামের পিছনে হলে ভিন্ন কথা। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ৩১৩)


আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠের মাধ্যমে সালাত আদায়ের পর জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের কেউ এখন আমার সাথে কিরাআত পাঠ করেছে কি? জবাবে এক ব্যক্তি বলেন হা, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এজন্যই আমার কুরআন পাঠের সময় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরূপ শোনার পর সাহাবায়ে কিরাম উচ্চস্বরে কিরাআত পঠিত নামাজে তাঁর পিছনে কিরাআত পাঠ করা হতে বিরত থাকেন। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৮২৬)


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Zahid 420

Call

আপনি যখন ইমামের পিঁছনে দাঁড়িয়ে নামায পড়বেন তখন আপনাকে কিছু পড়তে হবে । ইমাম নামাযে কি পড়ছে তা মন দিয়ে শুনলেই চলবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ