Call

হাদিসে এসেছে, ইমাম যখন কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকূ করেন, তখন তোমরাও রুকূ করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো। যখন তিনি সাজদাহ করেন, তখন তোমরাও সাজদাহ করো। তিনি বসা অবস্থায় সালাত পড়লে তোমরাও সকলে বসা অবস্থায় সালাত পড়ো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮৪৬) ইমামের পিছনে কিরাআত পড়া প্রসঙ্গে অন্য হাদিসে এসেছে, আবূস সাইব (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি কোন সালাত পড়লো এবং তাতে উম্মুল কুরআন সূরাহ ফাতিহা পড়েনি তার সালাত অসম্পূর্ণ। আবূস সাইব (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরাইরাহ! আমি কখনো কখনো ইমামের সাথে সালাত পড়ি। তিনি আমার বাহুতে খোঁচা দিয়ে বলেন, হে ফারিসী! তুমি তা মনে মনে পড়ো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮৩৮) আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হল না। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৭২০)   ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা না পড়লে একেবারেই নামাজ হবে না কথা এমন নয়। কেননা, অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। আপনি মনে মনে পড়তেও পারেন। আবার নাও পারেন এতেও আপনার নামাজ হবে। ইমাম আবু হানিফার মতে না পড়াই উত্তম।   

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ