অসতর্কতাবশত হাত থেকে কোরআন শরীফ পড়ে গেলে উক্ত অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে ''ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন'' পড়া যায় কারন এটাও একটা বিপদের কারনেই হয়ে থাকে। (সুরা বাক্বারাঃ ১৫৬)।
বিপদে সবরকারীগণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তারা বিপদের সম্মুখীন হলে ''ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন'' পাঠ করে। এর দ্বারা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে যে, কেউ বিপদে পড়লে যেন এ দোআটি পাঠ করে। কেননা, এরূপ বলাতে একাধারে যেমন অসীম সওয়াব পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি যদি এ বাক্যের অর্থের প্রতি যথার্থ লক্ষ্য রেখে তা পাঠ করা হয়, তবে বিপদে আন্তরিক শান্তি লাভ এবং তা থেকে উত্তরণও সহজতর হয়ে যায়।
দোআটির অর্থ হচ্ছে, নিশ্চয় আমরা তো আল্লাহরই। আর আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করব। সুতরাং আল্লাহ তাআলা যদি আমাদের কোন কষ্ট দেন তবে তাতে-ও কোন না কোন মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। তার উদ্দেশ্যকে সম্মান করতে পারা একটি মহৎ কাজ। আর এটাই হচ্ছে, সবর।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিনের কর্মকাণ্ড আশ্চর্যজনক। তার সমস্ত কাজই ভাল। মুমিন ছাড়া আর কারও জন্য এমনটি হয় না। যদি তার কোন খুশীর বিষয় সংঘটিত হয় তবে সে শুকরিয়া আদায় করে, ফলে তা তার জন্য কল্যাণের হয়। আর যদি তার কোন ক্ষতিকর কিছু ঘটে যায় তবে সে সবর করে, ফলে তাও তার জন্য কলাণকর হয়। (মুসলিমঃ ২৯৯৯)
অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কেউ বিপদ-মুসিবতে পড়ে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন বলবে, এবং বলবে, হে আল্লাহ আমাকে এ মুসিবত থেকে উদ্ধার করুন এবং এর থেকে উত্তম বস্তু ফিরিয়ে দিন অবশ্যই আল্লাহ্ তাকে উত্তম কিছু ফিরিয়ে দিবেন। (মুসলিম ৯১৮)
[উল্লেখ্য যে, কুরআন পড়ে গেলে তুলে চুমো দেওয়া বা চাল বিতরণ করা ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।]