ওলী আরবী শব্দ যার অর্থঃ অভিভাবক বা মুরুব্বী, বন্ধু। আরবী ভাষায় আউলিয়া শব্দটি ওলীর বহুবচন। ওলী অর্থঃ বন্ধু, মিত্র বা অনুসারী। কখনো শব্দটির অর্থঃ হয় শাসক,অভিভাবক বা কর্তা।
পবিত্র কোরআনে “ওলী” এবং “আউলিয়া” এ উভয় শব্দটির ব্যবহার হয়েছে অসংখ্য বার। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ আলা ইন্না আওলিয়া আল্লাহি লা খওফুন আলাইহিম ওলাহুম ইয়াহজানুন। আল্লাযীনা আমানূ ওকানূ ইয়াত্তাকানূন।
অর্থঃ জেনে রাখ নিশ্চয়ই আল্লাহর ওলীদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হবে না। যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে। (সূরা ইউনুস ১০: ৬২- ৬৩)
এখানে আল্লাহ তায়ালা ওলীদের দুইটি গুণ বর্ণনা করেছেন।
(১) যারা ঈমান আনয়ন করেছে। শিরক মুক্ত মুসলমান যারা।
(২) তাকওয়া অর্থাৎ, সর্বক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহকে ভয় করে তাঁর নিষিদ্ধ সকল প্রকার হারাম কাজ বর্জন করে চলা।
নিশ্চয়ই তোমাদের ওলী হলেন আল্লাহ এবং তাঁর রসুল আর ঈমানদার লোকেরা- যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দিয়ে দেয়, এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত বাধ্যগত থাকে।
এই আয়াত থেকে জানা গেল, সকল মুমিনই আল্লাহর অলী, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ ওয়াল্লাহু ওয়ালীউল মুমিনীন। অর্থঃ আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক। (সূরা আলে ইমরানঃ ৬৮)
তাই আপনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও ওলী আউলিয়া হতে চাইলে আগে মুমিন মুত্তাকীন হতে হবে।