পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া মাত্র-ই অজু ভেঙ্গে যায়। হোক অল্প অথবা বেশি। এমন হলেও অজু করা উত্তম। নাপাকির সীমাঃ- কাপড়ে নাপাকি লেগে গেলে তা না ধুয়ে নামায আদায় করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে বিদ্বানদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। তাবিঈদের মধ্যে কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি কাপড়ে নাপাকি এক দিরহাম পরিমাণ হয় এবং তা না ধুয়ে ঐ কাপড় পড়েই নামায আদায় করা হয় তাহলে আবার নামায আদায় করতে হবে । অপর দল বলেছেন, নাপাকির পরিমাণ এক দিরহামের বেশি হলেই আবার নামায আদায় করতে হবে। সুফিয়ান সাওরী, ও ইবনুল মুবারাক একথা বলেছেন। কিছু সংখ্যক তাবেঈ এবং আহমাদ ও ইসহাকের মতে নাপাকির পরিমাণ এক দিরহামের বেশি হলেও নতুন করে নামায আদায় করতে হবে না। ইমাম শাফিঈর মতে, কাপড়ে এক দিরহামের কম পরিমাণ নাপাকি লাগলেও তা ধুয়ে নেয়া ওয়াজিব। তিনি এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করেছেন। হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, ঐ দুই কবর-বাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ বা কোন কঠিন কাজের জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না। তারপর বললেন, হ্যাঁ, অপরাধ তো বড়ই ছিল। ওদের একজন চুগলী করে বেড়াত। আর অপরজন পেশাবের ছিটা থেকে বাঁচত না। [রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১৫৪৫] ভাইয়া! পেশাবের ছিটা অল্প হলেও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করে বেঁচে থাকাই উত্তম।