গ্রাম্য অন্চলে প্রচলিত আছে একপ্রকার নবীর সাঃ এর উপর সালাম দেওয়া,সালামটি হলোঃ *ইয়া নাবী সালামা আলাইকা*ইয়া হাবিব সালাম আলাইকা*ইয়া রসুল সালাম আলাইকা*সালা ওয়া তুল্লা আলাইকা* এরকম ভাষায় সালাম দেওয়া কি দোষনিয়? বা নাযায়েয? কিংবা বিদআত?এবং উক্ত শব্দ গুলোর অর্থ কি দাড়ায় জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

দরূদ বলতে ‘সালাত আলান নবী’ অর্থা‍ৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পঠিত শুভকামনা, গুণকীর্তন, তার প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনাকে বোঝায়। দরূদ অতীব মর্যাদা ও সম্মানের। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ই হলো- দরূদ।

দরূদ অর্থ শুভকামনা বা কল্যাণ প্রার্থনা। আরবি সালাত শব্দের সমার্থক দরূদ। সালাতের মূল চারটি অর্থ। সেগুলো হলো- শুভকামনা, গুণকীর্তন, দয়া-করুণা ও ক্ষমা প্রার্থনা

সাধারণভাবে দরূদ বলতে ‘সালাত আলান নবী’ অর্থা‍ৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি পঠিত শুভকামনা, গুণকীর্তন, তার প্রতি আল্লাহর দয়া-করুণা ও প্রার্থনাকে বোঝায়। দরূদ অতীব মর্যাদা ও সম্মানের। আরবিতে ‘সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ’ বা ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ই হলো- দরূদ।

বীর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা নিজেই দিয়েছেন। নবীর প্রতি দরূদ পড়ার অর্থই হলো- আল্লাহর আদেশের বাস্তবায়ন ও হুকুম পালন করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সূরা আহজাব: ৫৬

হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা মিম্বরের কাছে একত্রিত হও। আমরা উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বরের প্রথম স্তরে চড়লেন তখন বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। তারপর যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লেন তখনও বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। তারপর তৃতীয় স্তরে চড়ে আবারও বললেন, হে আল্লাহ কবুল করুন। খুতবা শেষে যখন মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন, তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আজ আমরা আপনার থেকে এমন কিছু শুনলাম যা এর পূর্বে আর কখনও শুনিনি। তখন তিনি বললেন, আমার কাছে জিবরাইল (আ.) এসে বলল, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও তাকে ক্ষমা করা হলো না- সে বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন দ্বিতীয় স্তরে চড়লাম তখন তিনি বললেন, যার কাছে আপনার নাম উল্লেখ করা হলো কিন্তু সে আপনার ওপর দরূদ পড়ল না- সেও বঞ্চিত হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। যখন তৃতীয় স্তরে চড়লাম, তখন তিনি বললেন, যে পিতা-মাতাকে অথবা তাদের কোনো একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েও তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল না সেও বঞ্চিত  হোক। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ কবুল করুন। -বায়হাকি: ১৪৬৮

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদ পাঠ করা অতি উত্তম পর্যায়ের একটি ইবাদাত। তবে গ্রামাঞ্চলে মিলাদ নামে যে সুরময় দরূদের প্রচলন রয়েছে তা বিধিত নয়। কারণ তাতে নানা ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে। এবং যে পদ্ধতিতে সে দরূদ পাঠ করা হয় তাও বিধানিক নয়। প্রচলিত দরূদের অর্থ দাঁড়ায়, হে নবী ! তোমার উপর সালাম। হে নবী ! হে হাবীব ! তোমার উপর সালাম। হে রসূল ! তোমার উপর সালাম। আল্লাহর রহমত তোমার উপর বর্ষিত হোক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MdAbuSayid

Call

আবু হানিফা রহ এর মতে জিবনে একবার দরুদ পড়া ফরয। রসুলের নাম শুনা মাত্র দরুদ পড়া ওয়াজিব।আর নামাজে তাশাহুদের পর দরুদ পড়া সুন্নাত ।একি বৈঠকে বারবার দরুদ পড়া মুস্তাহাব। অনেক উলামা বলেছেন মুসলিম শরিফের দরুদ টি উত্তম। হাদিসে নেই এমন দরুদ পড়াকে অবশ্যক মনে করা বিদাত। হাদিসে নেই এমন দরুদ যদি শরিয়ত সম্মত হয় তাহলে পড়া যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ