শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিদাত। কারন,রাসূল সা: এবং সাহাবাদের সময় মিলাদ ছিল না।এটা আজকালের প্রয়োগ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

ভাই এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটা অত্যন্ত জরুরি লাগবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মিলাদ শব্দটির মূল অর্থ জন্মবিষয়ক আলোচনা। এখানে যদি আপনি প্রকৃতই মিলাদ করতেই চান তবে আপনাকে হুযুর সঃ এর শানে তার জন্ম ও প্রশংসা মূলক আলোচনা করতে হবে।অন্যকিছু নয়।আর যদি তাই করেন তবে তার শানে দরুদ পড়ার জন্য সর্বশেষ্ঠ দরুদে ইব্রাহীম পাঠ করাই শ্রেয়, কোন কাব্যিক দরুদ নয়।

আর ক্বিয়াম করার কথা  যদি বলেন, তাহলে স্বীকার করতেই হবে, যে রাসুল সঃ এর শানে সম্মান জানানোর জন্যেই দাড়ানো হয়, অথচ মিলাদ শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ পড়া হয়ে থাকে যখন কেও দাড়ায় না ! অর্থ দাড়ালো আল্লাহর চাইতে নবীর সম্মান বেশী, এছাড়াও স্বংয় দাড়নোর বেপারে নবীজি সঃ এ্রর নিজেরই নিষেধাজ্ঞা আছে.এখন আপনি বলুন নবীজির কথা না শুনে তাকে যদি সম্মান জানানো হয়, তাহলে সেটা কতটুকু গ্রহন যোগ্যতা পাবে..সকল কিতাব দিয়ে আপনাকে চোখে দেখিয়ে বোঝানো সম্ভব কিন্তু এখানে নয়।এজন্যই আপনাকে যে কোন বড় মাদ্রাসায় যেতে বলেছি..যদি সত্যিই জানার ইচ্ছা থাকে । কেননা অনেকে বাপ দাদা করেছে এই চিন্তা নিয়ে আর সামনে এগুয় না।তাদের জন্য বলবো..আমাদের বাপ দাদারা কুইনাইন খেত আমরা প্যারাসিটামল নেই..বাপ দাদারা চিঠি লিখতো আমরা মেসেজ করি..প্রত্যেক উত্তম জিনিস যখুনি আবিস্কার হয়েছে আমরা বিনা দ্বিধায় তা গ্রহন করেছি, কিন্তু ইসলামের কিছু নিয়মাবলির ক্ষেত্রে আমরা এই অজুহাত দিয়ে বসে থাকি। সবশেষে সংক্ষিপ্ত ইতহাস তুলে ধরছি “৬০৪ হিজরীতে ফাসিক বাদশাহ আবু সাঈদ মুযাফফরুদ্দীন , আবুল খাত্তাব ইবনে দিহইয়া নামক জৈনক দরবারী আলেম দ্বারা মিলাদ মাহফিলের ব্যাবস্থা করেন। 

আল্লামা আব্দুর রহমান রহঃ প্রচলিত মিলাদ কে বিদয়াত বলেন। খোলাফায়ে রাশেদিন , সাহাবাগন রাঃ আইম্মায়ে মুজতাহিদগন তা করেন নি।(প্রমান আশশিরাতুল ইলাহিয়া ২৫৩ পৃ)  
আল্লামা আহমদ বিন মুহাম্মদ মিসরী রহঃ লিখেন মাযহাব চারের ইমামগন মিলাদ মাহফিলের জঘন্যতার উপরে একমত পোষন করেন। (প্রমানঃ রাহে সুন্নাত ২৫৩ পৃ)  
''যদি কেউ আমার এই দ্বিনের মধ্যে এমন কিছু আবিষ্কার করতঃ অনুপ্রবেশ করায় তাহলে সে কাজ হবে প্রত্যাখ্যাত। কিছুতেই তা গ্রাহ্য হবেনা'' (বুখারী ও মুসলিমঃ মিশকাত শরীফ ২৭ পৃ)  
উল্লেখ্য মিলাদে কিয়াম করা শিরক ও নাজায়িজ।  
তবে প্রচলিত পন্থা ছাড়া কেউ মিলাদ পড়াতে চাইলে নিয়ম এই যে, কোন একজন হক্কানী আলেম রসুল সাঃ এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করবেন এবং দরুদ পড়ার ফযীলত বলবেন এবং সবাই মহব্বতের সহিত দরুদ পড়বে। পরিশেষে আলেম সাহেব সবাই কে নিয়ে দোয়া করবেন।  
(প্রমানঃ মিশকাত ২৭, ৪০৩, ওয়াফ্যাতুল আয়ান ৪ঃ১১৭ইতেসাম ১;১১৪, মজলিসে আবরার ২১৩ ফাতয়াওয়ায়ে রাহিমীয়া ২;২৮৩মুসলিম শরীফ ২;৭৭, আবু দাউদ শরীফ ২;৭১০)”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ