১*জুয়া খেলার ১লাখ টাকা কাছে থাকলে।আর দুইগুণ টাকা চলে যাবে।যেকোনভাবে।ইসলাম দৃষ্টিতে এটা কি সত্যি।২*জুয়া খেলার টাকা কাছে থাকলে নামাজ হবে।যদি জীবনের প্রয়োজনে না লাগায়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বর্তমানে আমাদের সমাজের তরুণদের মাঝে একটি বিষয় খুবই বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা হলো জুয়া খেলা , বাজী বা লটারী ধরার প্রবনতা। যা আমাদের সমাজে মহামরী আকারে রুপ নিচ্ছে। কেউ ব্যবসায়ের নামে, কেউ লোভনীয় পুরষ্কারের অফার দিয়ে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এটাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমাজের প্রভাবশালী লোকেরা এর পিছনে ইন্ধন জোগায় আবার পরিবারের বড়রাই ছোটদের উৎসাহিত দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেকে জানে যে, তারা যা করছে সেটা হারাম বা অন্যায়। আবার অনেকে জানেই না যে, লটারী বা জুয়া খেলা হারাম । অনেকে জেনে বুঝে প্রকাশ্যে এ হারাম কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছে যা আল্লাহর আইনের প্রকাশ্য বিরোধীতার শামিল। চলুন দেখা যাক ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে। জুয়া বা লটারি অকাট্যভাবে হারামঃ আরবী ভাষায় জুয়াকে বলে মাইসির আর মদকে বলে খিমার। আর কিমার এবং মাইসির শব্দ দু’টি সামার্থ বোধক শব্দ। আবার বাংলা এবং উর্দুতে এর প্রতিশব্দ হচ্ছে জুয়া। ইসলামী শরীয়তে জুয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়াকে হারাম এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻟْﺄَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻟْﺄَﺯْﻟَﺎﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ ‘‘হে মুমিনগণ! নিশ্চিত মদ, জুয়া প্রতিমা এবং ভাগ্যনির্ধারক তীর নিক্ষেপ এসবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানী কাজ। অতএব, তোমরা তা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকো, যাতে তোমরা কল্যাণ পেতে পারো’’। (সূরা মায়িদা, আয়াত:৯০) আপাতঃদৃষ্টিতে যদিও কিছু লোকের কাছে মনে হতে পারে জুয়া একটি লাভজনক ব্যবসা কিন্তু এর সামান্য কিছু লাভ থাকলেও ক্ষতির পরিমান তার চেয়ে বহুগুনে বেশি। যেমন আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- ﴿ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮِ ۖ ﻗُﻞْ ﻓِﻴﻬِﻤَﺎ ﺇِﺛْﻢٌ ﻛَﺒِﻴﺮٌ ﻭَﻣَﻨَﺎﻓِﻊُ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﻭَﺇِﺛْﻤُﻬُﻤَﺎ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻣِﻦ ﻧَّﻔْﻌِﻬِﻤَﺎ ۗ ﻭَﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧَﻚَ ﻣَﺎﺫَﺍ ﻳُﻨﻔِﻘُﻮﻥَ ﻗُﻞِ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ۗ ﻛَﺬَٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺂﻳَﺎﺕِ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ﴾ (হে মুহাম্মদ) ‘তারা আপনাকে মদ এবং জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, এ দুটোর মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর এতে মানুষের জন্যে সামান্য কিছু উপকারিতাও রয়েছে। তবে এগুলোতে উপকারিতা অপেক্ষা ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। (সূরা বাকারা, আয়াত-২১৯) জুয়া বা লটারির সংজ্ঞাঃ ফিকাহবিদগণ বিভিন্ন শব্দে খিমারের (জুয়ার) সংজ্ঞা দিয়েছেন। সাধারণত ফিকাহবিদদের মাঝে কিমারের যে সংজ্ঞাটি বেশি প্রসিদ্ধ, তা হলো।-‘‘উভয় পক্ষ থেকে সম্পদের মালিকানাকে ঝুঁকির মাঝে ঝুলন্ত রাখা’’ যে মালিক হবে সে পূর্ণ মালিক হবে, আর যে বঞ্চিত হবে সে পুরোপুরি বঞ্চিত হবে। জুয়ার সুস্পষ্ট সংজ্ঞা দিয়েছেন তাফসীরে মাআরিফুল কুরআনের গ্রন্থকার হযরত মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ)-তিনি বলেন,‘‘মাইসির এবং খিমারের সংজ্ঞা হলো, যে ব্যাপারে কোনো মালের মালিকানায় এমন সমুদয় শর্ত আরোপিত হয়, যাতে মালিক হওয়া না হওয়া উভয় সম্ভাবনাই সমানভাবে বিদ্যামান থাকে; আর এরই ফলে পূর্ণ লাভ কিংবা পূর্ণ লোকসান উভয় দিকেই সমানভাবে বজায় থাকে। (শামী-৫:৩৫৫ কিতাবুল হাযবী ওয়াল ইবাহা) এর যতোপ্রকার অতীতে ছিল, বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে পারে তার সব গুলোকে মাইসির, কিমার এবং জুয়া বলা হবে। (তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন,১:৫৩৩ সূরা বাকারা, আয়াত:২১৯)। চুক্তির মধ্যে যে চারটি বিষয় পাওয়া গেলে জুয়া বলে গন্য হবে। ১. জুয়া দুই বা ততোধিক ব্যাক্তির মাঝে সংঘটিত একটি ভারসাম্যহীন চুক্তি। ২. এই চুক্তিতে স্বীয় স্বল্পমাত্রার সম্পদ বাজি ধরে অন্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ শোষণের এক অভিনব কৌশল। ৩. জুয়ায় অপরের অর্থ-সম্পদ শোষণ ও উপর্জিত অনিশ্চিত এমন কোনো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল হয়, যা হওয়া না হওয়া উভয় সম্ভাবনাই সমানভাবে বিদ্যমান থাকে। ৪. জুয়ায় দু’ পক্ষের একপক্ষ সমূলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর অপর পক্ষ কোনোরূপ বিনিময় ছাড়াই প্রথম পক্ষের অর্থ-সম্পদ লুটে নেয়। ফলে একপক্ষ জিতে লাভবান হয়, আর অপর পক্ষ পরাজিত হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে কেবল ক্ষতিগ্রস্তই হয়। যে কোনো চুক্তিতে মৌলিক এই চারটি বিষয় পাওয়া যাবে, সেটি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে, যা শরীয়তের দুষ্টিতে সুস্পষ্ট হারাম ।এ ধরনের চুক্তি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। জুয়া দু’ প্রকার জুয়ার প্রথম প্রকার ঃ দু পক্ষের কোনো পক্ষ নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু প্রদান করার ব্যাপারে বাধ্য নয়। বরং উভয় পক্ষের প্রদান অনিশ্চিত কোনো বিষয়ের উপর স্থগিত থাকে। যেমন, ‘যায়েদ’ এবং ‘খালেদ’ এর মাঝে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার শুরুতেই উভয়ে এই চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হলো যে, যে পরাজিত হবে সে বিজীয়কে এক হাজার টাকা প্রদান করবে। এ উদাহরণে দু’ পক্ষের কারো জন্যেই কোনো কিছু প্রদান নিশ্চিত নয় বরং একটি অনিশ্চিত বিষয় অথাৎ জয়-পরাজয়ের উপর স্থগিত। এমনিভাবে যেসব চুক্তিতে উভয় পক্ষের প্রদান কোনো অনিশ্চিত বিষয়ের সাথে শর্তযুক্ত করা হবে তা জুয়ার ১ম প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন, যায়েদ আমরকে বললো, অমুক ক্রিকেট খেলায় ভারত জায়লাভ করলে তুমি আমাকে এক হাজার টাকা দিবা। এটা উভয় পক্ষের প্রদান একটি অনিশ্চিত শর্তের উপর যুক্ত । সুতরাং এই চুক্তিও জুয়ার প্রথম প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এ প্রকারের জুয়ায় কোনো কিছু প্রদান উভয় পক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া আবশ্যক। যদি কোনো কিছুর প্রদান শুধু একপক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়, তাহলে তা জুয়া হবে না। যেমন, যায়েদ আমরকে বলল, ‘তুমি’ জিতলে আমি তোমাকে এক হাজার টাকা দেবো, কিন্তু ‘আমর’ হেরে গেলে আমরের দায়িত্ব কোনো কিছু প্রদান করা আবশ্যক করা হয়নি। এটা এক পক্ষের সাথে শর্তযুক্ত, বিধায় তা জুয়া হবে না। জুয়ার দ্বিতীয় প্রকারঃ যে চুক্তিতে এক পক্ষের প্রদান নির্দিষ্ট এবং নিশ্চত, আর অপর পক্ষের প্রদান অনিশ্চিত। যে নিশ্চিতভাবে প্রদান করে, সে মূলতঃ যৎ সামান্য অর্থ দ্বারা এ উদ্দেশ্য বাজি ধরে, হয়তো তা সম্পূর্ণরুপে গচ্ছা যাবে অর্থাৎ কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া অন্যের হাতে চলে যাবে অথবা স্বীয় সম্পদের চেয়ে বহুগুণবেশি সম্পদ কোনো বিনিময় ছাড়াই নিজের হস্তগত হবে। আধুনিক যুগের লটারি এবং র্যাফেল ড্র জুয়ার দ্বিতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। এতে অংশগ্রহণকারীগণ গুরুতেই ফিস, টিকেট ক্রয় বা অন্য কোনোভাবে কিছু টাকা প্রদান করে থাকে। অতঃপর উদ্যোক্তারা এর অংশবিশেষ বিজয়ীদের মাঝে পূর্ব নির্ধারিত হারে পুরস্কার হিসেবে বন্টন করে। যাদের নাম লটারিতে আসবে না, তাদের টাকা কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই অন্যের হাতে চলে যায়। এর বিনিময় তারা কিছুই পায় না। আর যাদের নাম নাম লটারিতে আসে, তারা বিনা পুজিতে কোনরূপ বিনীময় ছাড়াই স্বীয় অর্থ অপেক্ষা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় । উভয় প্রকারের আলোক জুয়ার সংজ্ঞা আমরা এভাবে করতে পারি যে ‘‘জুয়া একাধিক ব্যক্তির মাঝে এমন একটি ভারসাম্যহীন চুক্তি যাতে প্রত্যেকেই অনিশ্চিত কোনো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কিছু টাকা দিয়ে এমনভাবে বাজি ধরে যে, হয়তো তা কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া অন্যের হাতে চলে যাবে অথবা অন্যের মাল কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়ায় তার কাছে চলে আসবে। এটাই হলো জুয়া বা লটারী জাহেলী যুগে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে পরস্পরে স্বীয় অর্থ-সম্পদ এবং পরিবার-পরিজনকে বাজির উপকরণ হিসেবে পেশ করত। দু’ ব্যক্তির যে অপরকে জুয়ার দ্বারা পরাজিত করত, সে অপরের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে যেত’’। (তফসীর ইব্ন জারীর তারাবী ২/৩৫৮) জাহেলী যুগে জুয়ার প্রচলনঃ জাহেলী যুগে শুধুমাত্র ধন-সম্পদের উপরেই জুয়া হত না, বরং কখনো কখনো স্ত্রীদেরকেও জুয়ার সওদা হিসেবে পেশ করা হত। জাহেলী যুগে নানা রকমের জুয়ার প্রচলন ছিল। তন্মধ্য আরবে প্রচলিত ভাগ্য নির্ধারণী জুয়া খেলার প্রথা সূরা মায়েদায় বর্ণিত হয়েছে। তার পদ্ধতি ছিল, দশ ব্যক্তি শরীক হয়ে একটি উট যবাই করত। অতঃপর এর গোশত সমান দশ ভাগে বন্টন করার পরিবর্তে জুয়ার আশ্রয় নেয়া হত। দশটি তীরের সাতটিতে বিভিন্ন অংশবিহীন চিহৃ দেয়া থাকত। অবশিষ্ট তিনটি তীর অংশবিহীন সাদা থাকত। এ তীরগুলোকে তুনের মধ্যে রেখে নাড়াচাড়া করে নিয়ে একেক অংশীদারের জন্যে একটি তীর বের করা হত। যত অংশবিশিষ্ট তীর যার নামে বের করা হত, সে তত অংশের অধিকারী হত। আর যার নামে অংশবিহীন তীর হত, সে বঞ্চিত হত। শুধু বঞ্চিত নয়, বরং বঞ্চিত ব্যক্তিকে উটের পূর্ণ মূল্য পর্যন্ত দিতে হত। আরবীতে এ পদ্ধতিকেই কিসাম বিল আযলাম বলা হয় যা হারাম। কুরআনে করীম বিভিন্ন আয়াতে জুয়াকে অকাট্যভাবে হারাম ঘোষণা করেছে। এমনিভাবে ঘোড়াদৌড়েও জুয়ার প্রচলন ছিল। দু’ব্যক্তি ঘোড়াদৌড়ের প্রতিযোগিতা লাগাত এবং পরস্পরে এ চুক্তিতে আবদ্ধ হত, যে পরাজিত হবে সে বিজয়ী ব্যক্তিকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। রাসূল (সাঃ) একেও জুয়ার অন্তভুক্ত করে হারাম ঘোষণা করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুল জিহাদ) হাদীসে রাসূল (স.) জুয়া পরিহার করার প্রতি এতো গুরুত্বারোপ করেছেন যে, শুধু জুয়াকেই হারাম করেননি; বরং জুয়ার ইচ্ছা প্রকাশকেও গুনাহ সাব্যস্ত করেছেন। যে ব্যক্তি অপরকে জুয়ার প্রতি আহবান করবে, তাকে তার এই গুনাহ‘র’ প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কিছু সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন রাসুল (স:) ইরশাদ করেন – ‘যে ব্যক্তি অপরকে জুয়া খেলার প্রতি আহবান করবে, তার জন্য উচিত কিছু সদকা করে দেয়া’’। (বুখারী শরীফ) জুয়ার অপকারীতাঃ মদ এবং জুয়া সমাজ ব্যবস্থার উপর বিরাট ক্ষতির প্রভাব ফেলে যা সমাজে রন্দ্রে রন্দ্রে পৌছে যায়। একটি সমাজে যখন মদ ও জুয়ার প্রভাব বেড়ে যায় তখন সমাজের মধ্যে পারষ্পারিক শত্রুতা বেড়ে যায়, অবৈধ আয়ের প্রতি মানুষের ঝোক প্রবল হয়, মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ বেড়ে যায়, সমাজের মানুষ অলস প্রকৃতির হয়ে যায়, সর্বপোরী আল্লাহর স্বরণ তথা নামাজ থেকে মানুষ গাফেল হয়ে যায়। যা আজ আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা;য়ালা বলেন- ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﻥ ﻳُﻮﻗِﻊَ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌَﺪَﺍﻭَﺓَ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮِ ﻭَﻳَﺼُﺪَّﻛُﻢْ ﻋَﻦ ﺫِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻋَﻦِ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ۖ ﻓَﻬَﻞْ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻣُّﻨﺘَﻬُﻮﻥَ ﴾ এরশাদ হচ্ছেঃ ‘‘নিশ্চয় শয়তান মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের পরস্পরে শক্রতা ও হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর যিকির ও নামায থেকে বিরত রাখতে চায়, সুতরাং তোমরা কি এগুলো থেকে বিরত থাকবে’’? (সূরা মায়িদা, আয়াত-৯১) পরিশেষেঃ আমাদের সমাজে আজ লটারীর নামে প্রকাশ্যে অলিতে গলিতে, শহরে কিংবা গ্রামে জুয়ার রমরমা ব্যবসা চলছে। সচেতন মহল আজ দেখেও না দেখার ভান করছে। আজ যদি ধর্মপ্রাণ মানুষেরা এর প্রতিবাদ না করে মুখ বন্ধ করে বসে থাকে তাহলে প্রকাশ্যে আল্লাহর সাথে বিদ্রহের শাস্তি থেকে আমরা কেহই রক্ষা পাব না। আল্লাহ আমাদের সকল অশ্লিল কাজ থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রাণ তার কসম! নিশ্চয় কোন বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে গোস্ত পিন্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম। [আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০]


জুয়া খেলার এক লাখ টাকা কাছে থাকলে। তার দুইগুণ টাকা চলে যাবে। ইসলাম দৃষ্টিতে এইরকম কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়না। তবে অসৎ উপায়ে উপার্জনের টাকার বরকত হয়না।

ভাই জুয়া খেলা হারাম। এটা জেনেও যদি কেউ নামাজ আদায় করে, এবং তাওবা করে তাহলে তার নামাজ হবে। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল খারাপ কাজ হতে বিরত রাখে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ