আয়েশা রাঃ বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবী বকর রাঃ পাতলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় রাসূল সাঃ-এর নিকট প্রবেশ করলেন। রাসূল সাঃ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আসমা! নারী যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার এটা ওটা ব্যতীত প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। আবু দাঊদ হা/৪১০৬; মিশকাত হা/৪৩৭২, সনদ সহীহ। মুখমণ্ডল ঢেকে রাখার পক্ষের দাবিদারগণ এই হাদিসকে দলিল হিসাবে নাকচ করে দিবেন। তার কারণ হিসাবে জানাবেন- হাদিসটিতে বর্ণনাকারীদের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি, আরো বলবেন- হাদিসটির বর্ণনা দাতাদের একজনের সততার বিষয়ে সন্দেহ আছে। এই ধরণের হাদিসকে হাদিস বিজ্ঞানে মুরসাল হাদিস বলে। (কেউ কেউ অবশ্য এই হাদিসকে হিযাব ফরজ হবার আগের বলে দাবি করে থাকেন। ) আসমা বিনত উমর রাঃ এর পোশাক বর্ণনার হাদিসটিকে রাসুল সাঃ পর্যন্ত সিল-সিলা না পাওয়ার কারণে, হাদিসের সাথে রাসুল সাঃ এর সংযুক্তি প্রমাণ করতে না পারলেও এই হাদিসটি যে সদ্য আবিষ্কৃত কোন হাদিস নয়, তা যে আবু দাউদ কর্তৃক সংগৃহীত তাতে কোন সন্দেহ নাই। আবু দাউদ যখন তা রেকর্ড করেন তখন মূল ঘটনা থেকে মাত্র ৫ পুরুষ কাল অতিক্রম করেছিলো। কাজেই কাছাকাছি সময়ে রেকর্ড করে যাওয়ায় এই হাদিস থেকে রাসুল সাঃ এবং সাহাবীয়ে কেরামগণ রাঃ আমলের নারীদের চলা ফেরা এবং বেশভূষা কেমন ছিলো এই হাদিসে সে সময়ের নির্ভর যোগ্য চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। সে চিত্রটি মুখমণ্ডল খোলা রাখার পক্ষে দাবিকারীদের দাবীকে শক্তিশালী করে তোলে। যে কারণে হাদিস বিশেষজ্ঞ আলবানী রঃ এই হাদিসকে হাসান হাদিসের অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর -“জিলবাব-আল- মার’আ- আল মুসলিমা, ইরওয়া আল ঘালিল, সহি আল জামি, আল সগির এবং তাখরিজ আল হালাল ওয়া ই হারাম” নামক কিতাব গুলোতে। ইসলামে দলিল যাচাই বাছাইয়ের সুনান হচ্ছে যে, যদি কোন এক বিষয়ে পরস্পর বিরোধী প্রামাণিক দলিল পাওয়া যায়, তাহলে ৩য় কোন দলিল দ্বারা ঐ দুই দলিলের একটিকে সমর্থন করে তখন সেই দলিলটি পালনীয় এবং যেটির সমর্থনে ৩য় কোন দলিল পাওয়া যাবেনা তখন তাঁকে বর্জন করা। [collected ]