আপন কেউ মৃত্যুবরণ করলে কুরআন পাঠ থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের ইবাদত করে তাদেরকে উপকৃত করা যায়। কিন্তু সমাজে সোয়া লাখী কলেমার খতম নামে যে খতমের প্রচলন রয়েছে এবং এর মাহাত্ম্য ও উপকারিতা সম্বন্ধে যা কিছু বলা হয়ে থাকে এর কোনো ভিত্তি ইসলামী শরীয়াতে নেই। সংখ্যা নির্ধারণ না করে এবং নির্দিষ্ট উপকারিতার প্রতি বিশ্বাস না করে কেউ যদি বেশি বেশি কালেমা পাঠ করে তাহলে তাতে আশা করা যায় মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবেন এবং সেটা বৈধও হবে।
যে ব্যাক্তি তার পিতা-মাতা উভয়ের কবর প্রত্যেক জুম’আর দিবসে যিয়ারত করবে। অতঃপর তাদের উভয়ের নিকট অথবা পিতার কবরের নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, প্রত্যেক আয়াত অথবা অক্ষরের সংখ্যার বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
মাকিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃতদের কাছে সূরা ইয়াসিন পড়ো। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১৪৪৮
হাদিসের মানঃ যঈফ হলেও আপনজনের মৃতদের কাছে সূরা ইয়াসিন বা তাদের আত্মার শান্তির জন্য কোরআন খতম করা যাবে।
তবে কালিমা সোয়া লাখ বার পড়া এরকম রেওয়াজ থাকলেও কোরআন হাদিসে এর কোন রেফারেন্স পাওয়া যায়না।