সূরা  নং হাদীজ নং সহ
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এই দিবসটি হলো নবী (সা) জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবস পালন করা । যা ইসলামে জায়েজ নয়। "একজন মোমিন ব্যাক্তি মারা গেলে আরেক মোমিন ব্যাক্তি শোক পালন করতে পারবে ৩ দিন। স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী শোক পালন করতে পারবে ৪ মাস ১০ দিন।" (সহিহুল বুখারি ১২৭৯-১২৮২, ৩১৩, ৫৩৩৪, ৫৩৩৯, ৫৩৪৫)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
রুপ

Call

কিছু কিছু মানুষ আছে মিলাদুন্নবী কে বেদাত বলে ফতোয়া দেয়। বলে কোন সাহাবায়ে কেরাম পালন করেছেন বা কোন দলিল আছে? কোথাও মানা আছে? তাদের কাছে প্রশ্ন হল আচ্ছা ভাই উত্তর দিবেন দলিলের মাধ্যমে আপনি যে মোবাইল ব্যবহার করেন কোন সাহাবায়ে কেরাম ব্যবহার করেছেন বা দলিল আছে? আচ্ছা ভাই নববর্ষ পালন করার সময় যে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় যাতে সমস্ত কিছুই শিরিক কিন্তু কোন ওহাবি, বিবেকবান,দালালীরা আজ পযন্ত যতবার নবীজীর আগমনের জন্য যে জুলুস (আনন্দ মিছিল) করা হয় তার জন্য মন মত দালালি ফতোয়া দেয় কখনো কি এই নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা করা? তুরাগ নদীতে বিশ্ব ইজতিমার করার জন্য বিরোধীতা করেছে এমন মনে হয় কেউ দেখেছে কি??আর কেমনে বা ফতোয়া দিবে এগুলাতো ওনাদের উৎসব। ওনাদের গুলা পালনের দলিল রয়েছে। তাদের যত বেদাআত আছে নবীজীর আগমনে।ওনারা করলে তখন সব দাতঁ হয়। কই ইজতিমা ও তো বেদাআত নাকি অাপনাদের কাছে দলিল আছে যে বাংলাদেশের এই তুরাগ নদীর তীরেই বিশ্ব ইজতিমা করতে হবে নাহলে হবে না। আল্লাহ তো পৃথিবীরর সব জায়গা কে ইবাদতের জন্য করে দিয়েছে। নাকি দলিল আছে তুরাগ নদীতে ইজতিমা জায়েজ। কোন মতে একটা হাদিস মুখস্ত করছেন যে "নবী বলেছে সকল নব্য কিছুই পরিত্যাজ্য।" একটি হাদিস দিয়ে কোন কিছুই কে বেদাআত বলা যাবে না। তাহলে আপনাদের দলিল আপনাদের কে বেদাআতী প্রমান করে। বর্তমানে কোন আধুনিক জিনিসটা দলিল দিয়ে প্রমান করতে পারবেন বেদাআত না?? তাদের হাদিসে কি নবীর আগমন চেয়ে নববর্ষ আগমনে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা দলিল আছে? ভাই মঙ্গল শোভাযাত্রায় কোন জিনিসটি মঙ্গল? কোন পাখি,জীবজন্তুর মূতি,দিয়ে যদি মঙ্গল কামনার প্রতিক হয় আল্লাহ কসম এইটা তো বিশ্ব শিরিকি শোভাযাত্রা। তখন আপনাদের বিবেকবানদের দালালি ফতোয়া কই তাকে?? আপনারা করলে দাত, আর আমাদের নবীজীর আগমনে আনন্দ মিছিল বেদাত??( দারুন দলিল) আপনারা যে কোরান হাদিসের দলিল দেন আচ্ছা নবীজী যদি দুনিয়াতে না আসত কেমনে দলিল দিতেন?? আপনারা যে বলেন দুই ঈদ ছাড়া কোন ঈদ নাই। নবীজী না আসলে ঈদ কমনে পাইতেন? কেন প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার কে কি ইদের দিন বলা হয়নি? আরাফাতের দিনকেউ তো ঈদের দিন বলা হয়েছে। দেন ফতোয়া বেদাআত?  নবীজী না আসলে নামাজ,রোজা,হজ্জ যাকাত, কেমনে আদায় করতেন?? মিলাদুন্নবী বেদাআত নই, ইনশাআল্লাহ অনেক দলিল আছে, কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয় আর কিছুই করার নেই।আপনরা বলেন নবীজীর জন্ম মৃত্যু একি দিনে তাহলে আনন্দ না করে শোক পালন করিনা কেন? হাদিস সব দেখন এটা দেখন নাই তিন দিনের বেশি শোক পালন নাজায়েজ। অাপনি মনে হয় চোখে কম দেখেন আরে আমার নবী নই সকল তো (জীবিত) যা অনেক দলিল আছে। তা হলে যিনি জীবিত কেন তার শোক পালন করব?? এখন কি বলবেন নবী মরে পচে গিয়েছ, (নাউযুবিল্লাহ)। সিহাসিত্তার হাদিসের একটি হল মেশকাত শরীফে নবীজী বলেছেনঃ সকল নবী রাসুল জীবিত এমন কি তাদের কে পানাহার করানো হয় এবং তারা ইবাদাতও করেন। তাহলে কেমনে বলবেন আমার নবীর জন্য শোক পালন করব??  ভাই ঈদে মিলাদুন্নবী যদি বেদাআত হয আপনি যা কিছুই ব্যবহার করেন সবই তো বেদাআত বুকে হাত রেখে প্রমান করতে পারবেন??যদি নবীজী বা সাহাবায়ে কেরাম না করলে যে পরিত্যাজ্য হয়। আর সব বেদাআত যদি পরিত্যাজ্য হয় আপনাদের মতেঃ- তা হলে  ১।আমরা যে মসজিদে নামাজ আদায় করি ওই রকম মসজিদ কি নবী বা সাহাবায়ে কেরাম ব্যবহার করেছেন?? ২।স্কুল,মাদ্রাসা, মোবাইল,ইমেইল,ফেইসবুক,টিভি, ইত্যাদি কোন কিছুই কি ব্যবহার করার কি বেদাআত নই?? নাকি দলিল আছে? ৩।যে সহি বোখারী,সহি মুসলিম,সহ সিহাসিত্তার হাদিস বইসহকারে দলিল প্রদান করেন কোন সাহাবায়ে কেরামের সময় কি এমন কি ছিল?? ৪।যেই বিমান করে হজ্জ পালন করেন ওটাই তে বেদাআত কোন সাহাবায়ে কেরাম বিমান করে হজ্জ করেছেন দলিল আছে?? ৫।আজানে মাইক ব্যবহার করা এটাও তো বেদাআত কেননা হযরত বেলাল (রাব্দীঃ) জিবনেও তে আজানে মাইক ব্যবহার করেন নাই। আপনাদের দলিল সৌদিআরব এতে মাইক ব্যবহার করা হয় তাহলে ফতোয়া দেন নাই কেন? ও আচ্ছা সৌদিআরব করলে ওইটাইতো আপনাদের জন্য জায়েজ। আপনারা যে দলিল দেন সকল নতুন কিছু বেদাআত ও হারাম নাজায়েজ  তাহলে আপনি যা কিছুই ব্যবহার করেন সব কিছুই বেদাআত ও হারাম কেন হবে না??? আবার বলেন কই সৌদি আরবে এইগুলো পালন করে না? তাদের দলিল কি সৌদিআরব নাকি কোরআন হাদিস এজমা কিয়াস?? নবীজী কি বিদায় হজ্জে ভাষনে কি এই কথা বলে ছিল নাকিঃ- আমি তোমাদের কে আল্লাহর কিতাব আর সৌদিআরব দিয়ে গেলাম যতদিন আল্লাহর কিতাব আর সৌদিআরবের মত অনুসরণ করে যাবে কোউ পথব্রষ্ঠ হবেনা ।(নাউযুবিল্লাহ)  ভাই সৌদিআরবে তো আনেক কিছুই পালন করা হয় আপনি কি সব পালন করেন?? যারা বেদাআত ফতোয়া দেন বলেন তো বেদাআত কই প্রকার?কি কি?? আর সব বেদাআত কী পরিত্যাজ্য।??? প্রশ্নের উত্তর গুলো কি দলিলের রেফারেন্স দিয়ে দিতে পারবেন?? এত যদি খারাপ লাগে তাহলে এক কাজ করুন। আপনাদের মুফতী আর সুন্নিজামাত এর মুফতী দের সাথে মোনাযারা (তর্কযুদ্ধ) করতে বসান [collected ]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল কুরআনের কোন আয়াত বা কোন হাদীস দ্বারা কারো জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের কোনই প্রমাণ পাওয়া যায় না।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যাঁরা সবচেয়ে বেশী ভালোবাসতেন সেসব সাহাবাগণ বিশ্বনবী (সাঃ) এর জীবিতকালে অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেননি। এমনকি রাসূল (সাঃ) এর একমাত্র পূত্র ইবরাহীম ছাড়া বাকী পুত্রগণ তাদের জন্মের এক বছরের মধ্যেই মারা যায়। শুধু মাত্র ইবরাহীম ষোল মাস বয়সে মারা যায়। এজন্য নাবী (সাঃ) এতই দুঃখিত হন যে, তাঁর চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকে। কিন্তু এই আদরের ছেলেটির জন্মের দ্বিতীয় বছরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার মৃত্যু অথবা জন্মোৎসব পালন করেননি। ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম দিবস,মৃত্যু দিবস পালন করা এবং এ উপলক্ষে যে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয় তা হারাম এবং বিদআত। জন্ম দিবস এবং মৃত্যু দিবস পালনের কোন প্রমাণ কিংবা চর্চা রাসুল (সাঃ) কিংবা তাঁর সাহাবী (রাঃ) দের মাধ্যমে হয়েছিল বলে কোন প্রমাণ নাই। ইসলামে সকল হুকুম আহকাম, আচার-অনুষ্ঠান সুনির্ধারিত ও কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু নবী কারীম (সাঃ) এর জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস পালনের কথা কোথাও নেই। এমনকি নবী প্রেমের নজীর বিহীর দৃষ্টান স্থাপনকারি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের কেহ এ ধরনের কাজ করেছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। ইসলামে কম হলেও একলাখ চব্বিশ হাজার নবী, তারপরে খুলাফায়ে রাশেদীন ও অসংখ্য সাহাবা, মনীষি আওলিয়ায়ে কেরাম জন্ম গ্রহণ করেছেন ও ইন্তেকাল করেছেন। যদি তাদের জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন ইসলাম সমর্থিত হত বা সওয়াবের কাজ হত তাহলে বছরব্যাপী জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনে ঘূর্ণাবর্তে আবদ্ধ হয়ে যেতে হত আমাদের সকল মুলমানদের। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবাগন ছিলেন সত্যিকারার্থে নবীপ্রেমিক ও সর্বোত্তম অনুসারী। নবী প্রেমের নজীর ও দৃষ্টান্ত তারাই স্থাপন করেছেন। তারা কখনো নবী কারীম (সাঃ) এর জন্মদিনে অনুষ্ঠান পালন করেননি। যদি এটা করা ভাল হত ও মহব্বতের পরিচায়ক হত তবে তারা তা অবশ্যই করতেন। আর জন্মোৎসব পালন করার কালচার সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না তা বলা যায় না। কেননা তাদের সামনেই তো খৃষ্টানরা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর জন্মদিন ( বড়দিন) উদযাপন করত। তাছাড়া নবী কারীম (সাঃ) .এর জন্মদিন পালনের প্রস্তাব সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যেমন হিজরী ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হওয়া সময় উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন। কোন এক স্মরনীয় ঘটনার দিন থেকে একটি নতুন বর্ষগণনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেউ কেউ প্রস্তাব করলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্ম তারিখ থেকে সন গণনা শুরু করা যেতে পারে। উমর (রাঃ) এ প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে বললেন যে এ পদ্ধতি খৃষ্টানদের। উমার (রাঃ) এর এ সিদ্ধানে-র সাথে সকল সাহাবায়ে কেরাম একমত পোষণ করলেন। এবং রাসূলে কারীম (সাঃ) এর হিজরত থেকে ইসলামী সন গণনা আরম্ভ করলেন। যেহেতু রাসুল (সাঃ) এর জন্ম দিবস এবং মৃত্যু দিবস পালন করা জায়েয নয় সেহেতু অন্য কারো জন্মদিবস, মৃত্যু দিবস পালন করা শরিয়ত সম্মত নয়।  রাসূলে কারীম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি কোন জাতির সাদৃশ্যতা গ্রহণ করবে সে তাদের অনর্ভূক্ত বলে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবিতকালে ওয়াহী দিবস, কুরআন নাযিল দিবস, পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আঃ) এর জন্ম বা মৃত্যু দিবস, মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর জন্ম বা মৃত্যু দিবস এসেছে কিন্তু রাসূল (সাঃ) এভাবে কোন নবীর স্মরণে বা কোন সাহাবার শাহাদাত দিবস অথবা কোন জিহাদের দিবস পালন করেন নাই এবং নির্দেশও দেন নাই। বরং তিনি বলে গেছেন , আমার পরে আমার শরীআ’তের মধ্যে যে সকল নতুন কাজকর্ম আবিষ্কার হবে, আমি তা হতে সম্পর্কহীন এবং ঐ সকল কাজকর্ম মারদূদ পরিত্যাজ্য ও ভ্রষ্ট।  তাই মীলাদুন্নবী ও মৃত্যুবার্ষিকী কিংবা কোন জীবিত ও মৃত ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে বিদ’আত তথা মনগড়া কাজ। আর ইতিহাসের দৃষ্টিতে ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও অগ্নিপুজকদের অন্ধ অনুসরণ তথা ইসলাম বিরোধী কাজ। আর এসব জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী পালন কার তো বৈধ নয়ই বরং এগুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকা জরুরী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এটা বিদায়াত ভাই। কোন সাহাবী, তাবাঈ কেউ করেন নাই। নবীর প্রতি ভালোবাসা তার কেক কাটা! আর আনন্দ মিছিলে প্রমান পাবে বলে মনে করেন"?? এটা স্পষ্ট বিদায়াত 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ