মহান আল্লাহ পাক এর আদেশ-নিষেধ -এবং রাসূল (স:) এর জীবন ব্যবস্থা মেনে চলুন .কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন-যাপন করুন .এই জন্য আপনাকে হক্কানী আলেমের কাছে গিয়ে দীন শিখতে হবে এবং তাদের মজলিসে বেশি বেশি যেতে হবে .বাপ-দাদারের ধর্ম পালনের বিষয়টি পরিত্যাগ করতে হবে .কারণ আবু জাহল এই কারণেই ধ্বংস হয়েছিল .সে তার বাপ-দাদার ধর্মকে পরিত্যাগ করেনি .আশা করি বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ .
যখন আপনার সবকিছু জানার মত ক্ষমতা থাকবে না তখন নাহলে বাপ-দাদাদের ধর্মই পালন করলেন। কিন্তু বড় হবার পর নিজে জানার চেষ্টা করুন। যদি তাদের ধর্ম সঠিক থাকে তাহলে সেটাই মানুন। কিন্তু যদি ভুল পান সেটা অবশ্যই সংশোধন করে নিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কুরআন এর অর্থ জানতে এবং নবি(স) এর আদর্শ অনুসরণ করতে বলেছেন। আপনার বাপ-দাদারা সেটা করে থাকলে ভালো, কিন্তু যদি তাদের ভুল হয় আর আপনিও সেই ভুল চালিয়ে যান তাহলে হবে না। আপনাকে জেনে তা সংশোধন করে সঠিক পন্থা অনুসরণ করতে হবে।
অবশ্যই না। বিশেষকরে আপনাদের মত, যারা কোরআন ও হাদিছ জানেন, বুঝেন।
→আপনি যে আয়াত নং দিয়েছেন, তাতেই বলা আছে যে, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে, আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, তোমরা সে হুকুমের আনুগত্য কর, যা আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেছেন। তারা বলে কখনো না। আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব, যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদিও তাদের বাপ-দাদা কিছুই জানত না। জানত না সরল পথও। (সূরা বাকারাহ, আয়াতঃ ১৭০)
→উক্ত আয়াত থেকেই সহজে বুঝে নেওয়ার কথা, কার ধর্ম পালন করবেন? তবে, আপনি যে জিনিসটি বলেছেন সেটি ভিন্ন ধর্মের বিষয়াবলী না হলেও, নামায, যাকাত এসব বিষয়াবলী ফরয, যা অবশ্যই সঠিক ও সহীহমত পড়তে হবে। নতুবা, আপনার জানা থাকা সত্তেও, আপনি যদি সঠিকমত নামায, যাকাত না আদায় করেন। তাহলে আপনি আল্লাহর তায়ালার কাছে পাকড়াও হয়ে যাবেন।
তাই, আপনাদের উচিত সঠিকমত কোরআন ও হাদিসের আলোকে নামায, যাকাত, ফিতরা আদায় করা।