অামার বড় একজন মুরুব্বি অামাকে বলেছে "যে তোমাকে ভালবাসে তাকে তুমি মনে প্রানে গ্রহণ কর তুমি যাকে ভালবাস তাকে মন থেকে মুছে ফেল" খেয়াল করে দেখুন কথাটা কতটা যৌক্তিক। ভাই মেয়ের অভাব নেই, অাপনি অাপনার প্রভূকে পাওয়ার চেষ্টা করুন তিনি অাপনার প্রয়োজন পূরণ করবেন । অাপানার পিছনে হাজারো মেয়ে ঘুরবে। এখন অাপনি যাকে চান তাকে না পেলে মনে করবেন এট অাল্লাহর পক্ষ থেকে ফয়সালা হয়েছে। তাকে পেলে হয়ত অাপনার কোন ক্ষতি হতে পারে, তাই অাল্লাহ অাপানার ভালর জন্য এমন ফয়সালা করেছেন । এখন অাপনি একটি মেয়ের জন্য মরতে চান, এতে কি হবে? না তাকে পাবেন না অাপনার অনন্ত সুখী জীবন পাবেন? অাপানার এ ইহাকাল গেল পরকালও গেল। অাত্মহত্যার পরিনাম জাহান্নাম এটা হাদিস দ্বারা প্রমানিত।
ইসলাম ধর্মে প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি জায়েজ তবে সেটা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী মধ্যে। ইসলামে নারী পুরুষের সম্পর্কের পবিত্র আর বৈধ পন্থা হল বিয়ে। এর বাইরে অর্থাৎ “বিয়ের আগে নারী পুরুষের সম্পর্ক, বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড, লিভ টুগেদার এসব সম্পূর্ণ হারাম।
আর আত্মহত্যা একটি মারাত্মক অপরাধ ও জঘণ্য কবিরা গোনাহ যার দরুন পরকালে শাস্তি ভোগ করতে হবে।
হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে পড়ে আত্মহত্যা করল সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। যে ব্যক্তি লোহ জাতিয় জিনিস দ্বারা আত্মহত্যা করবে সে চির কাল জাহান্নামে থাকবে। যে বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা করবে সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। [বুখারী : ৫৩৬২, মুসনাদে আহমদ : ৯৯৮৩, জামে তিরমিযী : ১৯৬৪]
বোখারী শরীফের হাদীস
كان برجل جراح فقتل نفسه فقال الله بدرنى عبدى بنفسه حرمت عليه الجنة.
যুদ্ধের ময়দানে এক ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হলো তারপর যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করল। আল্লাহপাক (ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে) বলেন আমার বান্দা আমার চেয়ে অগ্রগামী হয়েছে বিধায় তার উপর জান্নাতকে আমি হারাম করে দিয়েছি। [বুখারী : ১২৯৮]
উক্ত হাদীসদ্বয় থেকে স্পষ্ট হয় যে, আত্মহত্যা কুফর। কারণ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে জান্নাত থেকে বহি®কৃত হওয়া ও চিরস্থায়ী জাহান্নামে প্রবিষ্ট হওয়া, কুফুরীর প্রতিদান।
সৃষ্টির সেরা মানুষ হয়ে অপমৃত্যু কেন? যত বড় মুসিবতই আসুক, সর্বস্ব হারিয়ে যাক, নিজের সুন্দর মূল্যবান জীবনকে অকালে ঝরিয়ো না। নিজের জীবনের মূল্য দিয়ো। আত্মহত্যা করোনা। যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে দৈবক্রমে বেঁচে গেছে তাদের থেকে যেনে নিয়ো মৃত্যু যন্ত্রণাটা কেমন? আর যে হতভাগ্য আত্মহত্যা করেছে- তার মৃত্যুর সময় যে কঠিন আযাব হয়েছে, অনুরূপ আযাব তার কিয়ামত পর্যন্ত হতেই থাকবে।
তুমি কার জন্য তোমার মহামূল্যবান জীবনটা দিয়ে দিবে? এই জীবনের মালিক তো মহান আল্লাহ তায়ালা, জীবন দিতে হলে আল্লাহর জন্য দিবে, অন্য কারো জন্য নয়। তুমি দুনিয়ার এ সামান্য কষ্ট সইতে পার না। যে জন্য তাহলে আখেরাতের মহা কষ্ট কি করে সইবে?
তুমি দুনিয়ার বুকে মূল্যহীন হতে পার, কিন্তু আল্লাহর কাছে অনেক দামি! তুমি জান্নাত কামনা কর। মসজিদে যাও, জিকির কর, ধ্যান কর, মানব সেবা কর। বেশী করে অর্থসহ কোরআন পড়। আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাও। সবার খোঁজ খবর নাও। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসবে। তাহলে আল্লাহ তা’আলাও তোমাকে ভালোবাসবে। আত্মহত্যার নাম মুখেও আনবেনা। এটা শয়তানের কাজ। শয়তান তোমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
বেশি করে তওবা কর ও আল্লাহর কাছে শয়তানের ধোঁকা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তাহলেই শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারবে।