এক ব্যক্তি তার সন্তানদের এবং স্ত্রীর প্রতি প্রতিদিনই জুলুম করে। এমনকি অনেকসময় তার সন্তানদের এবং স্ত্রীকেও কষ্ট দেয়। কিছুদিন পরপরই তাদের গালাগাল এমনকি তার স্ত্রীর পর্যন্ত গিবত করে, আরও ইত্যাদি বিষয়তো আছেই। তার স্ত্রীর পিতা-মাতাকে উদ্দেশ্য করে অনেক কথা বলে স্ত্রীকে আঘাত দেয়। সন্তানদের অধিকার আদায় না করার ব্যাপারেও অনেক কথা বলে। তার স্ত্রী অনেক ধৈর্যশীল এসব কথার জবাব দেন না বা ঝগড়ায় লিপ্ত হন না, শুধুমাত্র একা একা কাঁদে। তাই আমি এ ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে কুরআন অর্থাৎ আল্লাহর কথা আর হাদিসের কথা জানতে চাই???????
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 ওই ব্যক্তি সম্বন্ধে যে বিবরণ দিলেন তা যদি সত্য ও বাস্তব হয় তাহলে তো সে মহা অন্যায় করছে। সে স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করছে। সন্তানদের অধিকার নষ্ট করছে। অকারণে মানুষের উপর যুলুম করছে। পরনিন্দা করছে। এ সবই কবিরা গুনাহ। আর একটি কবিরা গুনাহই জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। সব গুনাহর ক্ষমা হলেও মানুষের উপর জুলুম করা বা কষ্ট দেয়ার গুনাহ ক্ষমা হয় না। যতক্ষণ না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়। প্রতিটি আচরণের কারণে তার নেকি কমে যাচ্ছে। হাদীসে এসেছে, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে। গিবত করাকে পবিত্র কুরআনে আপন মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। সুতরাং ঐ ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হলো, স্ত্রী সন্তানদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এরপর আল্লাহর কাছে তাওবা করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
আপনি এই উত্তরটি দেখতে পারেন
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কথায় কথায় গালাগালি করে, জুলুম করে। স্ত্রী -ছেলেকে এবং নিকট ও দুরের মানুষের কাছে অপমানিতা করে। তাই এখন স্ত্রী -স্নতান কি করতে পারে? (১) ধৈর্য ধরুন এবং গালি ও মারের বদলা নেওয়া থেকে দূরে থাকুন। (২) আল্লাহ্‌র কাছে নামায দুআ করুন, যেন আল্লাহ তাকে সৎশীল বানায়। (৩) কেন তার স্ত্রীকে গালাগালি বা কষ্ট দেয় তা আবিষ্কার করুন। আশা করি, সে পাগল নয় এবং মাদকদ্রব্যও সেবন করে না। তাহলে কেন খামোকা স্ত্রী-সন্তান গালাগালি করবে? ভেবে দেখুন, দোষ স্ত্রী -সন্তান দের মধ্যে নেই তো? স্ত্রীকি পারিপাট্য, সাজগোজ বা  স্বামীর সব চাহিদা মিটাতে পেরেছেন? তিনিকি সেই স্ত্রী, যার ব্যাপারে মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী হল সে, যার দিকে তার স্বামী তাকালে তাকে খোশ করে দেয়, যাকে কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং সে তার নিজের ব্যাপারে এবং স্বামীর মালের ব্যাপারে কোন অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচারণ করে না।” ৫৮১ (আহমাদ, নাসাঈ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। [সূরা আন-নিসাঃ আয়াত ১৯] কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ পিতা-মাতাকে গালি দেয়া কাবীরাহ গুনাহ। সাহাবা কিরাম প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেউ কি তার পিতা-মাতাকে গালি দিতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। কোন ব্যক্তি অন্যের পিতাকে গালি দেয় প্রত্যুত্তরে সেও তার পিতাকে গালি দেয়। কেউ বা অন্যের মাকে গালি দেয় জবাবে সেও তার মাকে গালি দেয়। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ১৬৪] মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমরা একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা বা গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষণ করতে চাইবে? বস্তুতঃ তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। [সূরা হুজুরাত আয়াত ১২][রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১৫১৯] এছাড়া তিনি সন্তানদের অধিকার আদায় না করা, স্ত্রী প্রহার করা, জুলুম অত্যাচার ইত্যাদি অনেক কবিরা গুনাহ করেছেন। আর কবিরা গুনাহের শাস্তি জাহান্নাম। তাই তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হলে তওবা করতে হবে। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থেকে যখনই ইখলাসের সাথে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে, তখনই আসমানের দরওয়াজাসমূহ তার জন্য খুলে দেওয়া হয়; এমনকি তা আরশ পর্যন্ত পৌছে যায়। [সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ৩৫৯০] আর এটাই ওই ব্যাক্তির সঠিক পথে আসার উত্তম পথ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ