কুতায়বা (রহঃ) আবূ বাকর ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু হারিস ইবনু হিশাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ ধর্মীনী আয়িশা ও উম্মু সালামা (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন। কোন কোন সময় জুনুবী অবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজর হয়ে যেত। এরপর তিনি গোসল করতেন এবং সিয়াম পালন করতেন। সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ৭৭৭ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আয়িশা ও উম্মু সালামা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান-সহীহ। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদিস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। এ হল সুফিয়ান, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। তাবিঈগণের একদল বলেন, জুনুবী অবস্থায় যদি ফজর হয়ে যায় তবে তাকে এই দিনের কাযা করতে হবে। এই হাদিস মানতে হলে আগে গোসল পরে রোজা। কারন নাপাক অবস্হায় কোন ইবাদত-ই কবুল হয়না।
কেউ যদি সুবহে সাদেকের পূর্বে অপবিত্র অবস্থায় সেহরী খেয়ে রোযা রাখে তবে সে রোযা আদায় হয়ে যাবে। তবে অপবিত্র অবস্থায় সাহরী খাওয়া অনুচিত। ফরজ গোসলে বিলম্ব করা উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফরজ গোসল করে নেয়া চাই। তবে হস্তমৈথুন করা মারাত্মক ঘৃণিত পর্যায়ের কবিরা গুনাহ। আর রমাযান মাসে এ গুনাহের ওয়েট তো আরো বেড় যায়। এটা জীবন, যৌবন, সুস্থতা ও সুস্থ মানসিকতার জন্য চরম ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত থাকা চাই।