(আপনার/ওনার আরও কিছু তথ্য দেয়া প্রয়োজন ছিল) আসলে একজন আদর্শ স্ত্রীর কোন যোগ্যতাই ওনার মাঝে নাই... একজন স্ত্রী খেয়ে হোক না খেয়ে হোক সকল প্রকার সমস্যায় স্বামীর পাশে থাকবে- আপনাকে আপনার স্ত্রী মন থেকে ভালবাসে না( যেহেতু সে অন্যের সাথে ঘর করেছে আবার ফিরে এসেছে/এখনও অপরের সাথে সম্পর্ক করার চেষ্টা করছে) সে আবার যে অন্যের সাথে ঘরসংসার করতে চাইবে না এর বা গ্যারেন্টি কি? সেহেতু আপনি আবারও প্রতারিত হতে পারেন
আমার মনে হয় আপনার স্ত্রী কোথাও কথা বলে।তা না হলে মন মিলন এর সময় এ রকম হয় না।আপনি বরং আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে হঠাৎ একদিন আপনার স্ত্রীর ফোনটা নিয়ে নিন।তারপর আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি ঠকছেন কিনা।আর আপনি দেখবেন আপনার স্ত্রী কোথাও ঘুরতে বা অন্য কোথাও যাওয়ার সময় ফোন করে বের হচ্ছে কিনা।যদি ফোন করে বের হয় তাহলে বুঝবেন কিছু টা ঠকছেন।আর আপনি একটু দেখ আপনার স্ত্রীর ফোনে দিনে বা রাতে কত বার ফোন আসে আর কত সময় কথা বলছে এটা খুব ভাল করে দেখবেন।আর যদি এ রকম না হয় তাহলে আপনি ঠকছেন না।
আপনার স্ত্রী আপনার যোগ্যতার অভাবে যে অন্য ছেলেকে বিবাহ করলো সে বিবাহটা শুদ্ধ হয়েছে কি না ? আপনি যদি তাকে তালাক না দেন তাহলে তো তার দ্বিতীয় বিবাহই শুদ্ধ হয় নি। যাক এখন যেহেতু সে তার দ্বিতীয় স্বামী থেকে ডিফোর্স নিয়ে আপনার কাছে এসেছে এবং আপনি তাকে বিবাহ করেছেন তাই এখন সে আপনার বৈধ স্ত্রী। আপনি আপনার স্ত্রী দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন কি না জানতে চাচ্ছেন। আপনার বিবরণে মনে হচ্ছে আপনার স্ত্রীর বেশ দুর্বলতার একটি দিক আছে। সেটা হলো, আপন স্বামী ছেড়ে অন্যের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। এটা মারাত্মক একটি ব্যধি। সুতরাং এ ব্যধি নিরাময়ের জন্য আপনাকে সবিশেষ যত্নবান হতে হবে। প্রথমত স্ত্রীদের কিছু হৃত অধিকার থাকে। সুখী সংসার নির্মাণের জন্য এ অধিকারগুলো পূর্ণ করা স্বামীর জন্য অত্যাবশ্যক। অধিকার আদায়ে গড়িমশি হলে সংসার ভাঙ্গার উপাদান সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয়ত স্ত্রীকে একজন আদর্শ নারী ও ধার্মিক নারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য প্রথমত আপনাকে আদর্শ পুরুষ ও ধার্মিক পুরুষ হতে হবে। স্ত্রীকে যদি ধর্মমুখী করা যায় তাহলে সংসার সুখী করা সহজ। তাই আপনি আপনার স্ত্রীর বৈধ অধিকারগুলো আদায়ে সচেষ্ট হোন এবং তাকে ধার্মিক হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করণীয় তা করুন। আশা করা যায় এতে আপনার সাংসারিক জটিলতা দূরীভূত হবে।