আমার হাতের লেখা এক দম ভালো না। আমার থেকে ক্লাস ১ এ যে পড়ে তার হাতের লেখাও অনেক ভালো,,, আমি চাই আমার হাতের লেখা সুন্দর করতে। এখন আমি কি ভাবে আমার হাতের লেখা সুন্দর করবো!????
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
amirupu

Call

এর জন্য,

বাংলা লেখার জন্য

লেখা গুলো সমান্তরাল করুন।

লেখা বেশি বড় বা ছোট করবেন না।

লেখা এর মাঝে ১ কলম সমান গ্যাপ রাখুন

লেখা এক লাইন সমান করুন ||||


যেমন:- খ এর জন্য খ এর ডান পাশের দাগ সমান রাখুন।এমন করে লেখা সমান করুন।

ইংরেজি লেখা সুন্দর করে,

লেখা  সমান করেন। বাকিটা বাংলার মত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সবক্ষেত্রে সবাইকে পরামর্শ দিতে প্রস্তুত হলেও আসলে এ বিষয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না জানি না। কারণ আমার নিজের হাতের লেখাই অতটা ভালো নয়।  তবে আমি নিজেই এটা ঠিক করতে দিনরাত চেষ্টা করি। তাই পরামর্শ হয়তো খারাপ দিব না।  এখন আপনার প্রায় অবসর। একমাসে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা সময় দিলেই কিন্তু হাতের লেখা ঠিক হয়ে যাবে।  প্রথমে প্রতিটি অক্ষর আপনার যার হাতের লেখা ভালো লাগে এমন কাউকে দিয়ে লেখান। দাগ টানা খাতায়। শুরুর লাইনে সে লিখবে। বাকিগুলোয় আপনি। ১০ দিনের জন্য তাকে দিয়ে দশবার লিখিয়ে নিবেন। দশদিন এভাবে প্র‍্যাকটিস করলেন।  তারপরে তাকে দিয়ে প্রতিদিন দশটা করে বাক্য লিখিয়ে নিবেন। আপনি নিজে একটু এমন বাক্য বেছে দিবেন যেগুলোকে মিলিয়ে প্রায় সব অক্ষর এসে যাবে। এবারো দাগটানা খাতায়। এভাবে দশদিন প্রাকটিস করলেন। এরপরে সাদা খাতায় আবার প্রতিদিন দশটি বাক্য লিখিয়ে নিবেন। এক্ষেত্রেও সবগুলো অক্ষর যেন আসে সেটা খেয়াল রাখবেন। দশদিনে সেটা প্র‍্যাকটিস করুন। এর প্র‍্যাকটিসগুলো করার সময় প্রতিবার লেখার সময় তার লেখাগুলি দেখুন। কীভাবে কোথায় কিরকম করে লিখেছে সেটা ভালোভাবে খেয়াল করুন। দেখবেন একমাস পর আপনার হাতের লেখা বদলে যাবে। আর কেউ যদি এত লিখে দিতে না চায় তাহলে বিজয়ের পছন্দমত একটা ফন্ট দিয়ে এগুলো লিখিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। তবে সেটা ব্যয়বহুল। এরচেয়ে কোনো বন্ধুকে বন্ধুত্বের খাতিরে একটু করে দিতে বলুন। লজ্জ্বার বিষয় যে আমি প্রতিবার ছুটি পেলে খুব আয়োজন করে এসব করার কথা চিন্তা করি। অলসতা করে আর হয় না। আপনার যেন এরকম কিছু না হয় সেটাও খেয়াল রাখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ে এসে আমরা কম্পিউটার আর ট্যাবলেট জাতীয় স্মার্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা হল- এখন ‘সুন্দর হাতের লেখা’ নিয়ে কিছুটা হলেও কম চিন্তা করতে হয় আমাদের।



কিন্তু ‘সুন্দর হাতের লেখা’ বা ‘হাতের সুন্দর লেখা’ যাই বলি না কেন এখনও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোটবেলায় আদর্শ লিপিতে আমরা পড়েছিলাম- ‘হস্তাক্ষর সুন্দর হইলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যা’। শুধু তা-ই নয়, সুন্দর হাতের লেখা আপনার ব্যক্তিত্বকে এক ভিন্ন মাত্রা দান করে।



যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নামী-দামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাতের লেখার ক্লাস নেন হাতের লেখা বিশেষজ্ঞ লরা হুপার। বিজনেস ইনসাইডারসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য ৭টি পরামর্শ দিয়েছেন।



১. সঠিক উপাদান নির্ধারণ করা : লেখা শুরু করার আগে সেই জিনিসগুলো নির্বাচন করুন যেগুলো ব্যবহার করে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। অনেকেই মনে করে থাকেন সুন্দর হাতের লেখার জন্য ‘ফাউন্টেন পেন’ অত্যাবশকীয়। আসলে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এমন একটি কলম বা পেন্সিল বেছে নিন যা আপনার আঙুলের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যাবে এবং লেখার সময় কাগজের ওপর যাকে জোরে চাপ দিতে হবে না। আর কাগজ হিসেবে ‘নোটবুক’ জাতীয় লাইন টানা কাগজ ব্যবহার করা যেতে পারে।



২. হাত এবং কবজি নমনীয় করা : ‘লেখা শুরুর আগে আমি আমার হাত হালকা করে নিই এবং কবজি দুটোকে হালকা মুচড়ে নিই যাতে এগুলো লেখার জন্য নমনীয় হয়’- হুপার বলেন। ‘বিশেষ করে যদি আপনি একটানা বেশ কয়েকদিন ধরে না লিখেন তাহলে অন্যান্য মাংসপেশীর মতো কবজি বা হাতেও একধরনের জড়তা অনুভব করবেন।’



৩. অঙ্গবিন্যাস ঠিক করা : সোজা হয়ে বসুন এবং আপনার অনভ্যস্ত হাতটিকে (যেমন ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাঁ হাত) কাগজ বা খাতাটিকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করুন। হুপার বলেন, ‘লেখার সময় আমি আমার অনভ্যস্ত হাতটিকে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ব্যবহার করি। এটা আমাকে স্থির থাকতে এবং ডান হাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে।’ তবে এজন্য অবশ্যই চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করা উত্তম।



৪. কলম ধরা : কলম বা পেন্সিল নিব এর কাছাকাছি ধরে লিখুন, তবে শক্তভাবে ধরে নয়। যদি নিবের কাছাকাছি ধরে লিখতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ কলম বা পেন্সিল ধরার আসলে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণই আপনার হাতের গড়নের ওপর নির্ভর করে।



৫. বাহু এবং কবজির অবস্থান : বেশিরভাগ মানুষই লেখার সময় শুধু আঙুল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু হস্তাক্ষরবিদরা আঙুল দিয়ে কলম-পেন্সিল আঁকড়ে ধরেন মাত্র এবং লেখার সময় নিজেদের বাহু এবং কবজিকে সমান অবস্থানে রেখে লিখে থাকেন। হুপার বলেন, ‘এটি রপ্ত করার জন্য আপনি একটি কলম ধরে কল্পনায় (বাতাসের ওপরে) বড় বড় অক্ষর লিখতে পারেন।’



৬. তুলনামূলক ধীরগতি অবলম্বন করা : বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে যত দ্রুত পারা যায় লেখা শেষ করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। হুপার বলেন, ‘লেখা কোনো দৌড় প্রতিযোগিতা নয়। কত দ্রুত তা শেষ করবেন এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে, প্রতিটি অক্ষর কিভাবে সুন্দর করবেন সেটাকে গুরুত্ব দিন। একটু ধীরে লিখুন এবং অক্ষরকে তার শ্রেষ্ঠ চেহারায় রূপ দিন।’ অক্ষরকে সুন্দরভাবে রূপ দিতে প্রথমে বড় বড় করে লেখার অভ্যাস করুন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক লেখার স্টাইল ছোট আকারে হ্রাস করুন।



৭. অনুশীলন, অনুশীলন এবং অনুশীলন : হাতের লেখা ভালো করার জন্য অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন ততই দক্ষতা বাড়বে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ