শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমার মতে নিম্নের কারনগুলোর কারনে নাস্তিকরা ইসলাম বিদ্ধেশী হয়-

  1. নিজের স্বার্থের কারনে। নাস্তিকরা যদি ইসলামের পথে চলে তাহলেতো ইসলামের মতে ভাল পথে চলতে হবে, সুদ, ঘুষ খাওয়া যাবেনা এর জন্য এরা ইসলাম থেকে দুরে সরে আসে।
  2. পাওয়ার এর জন্য। বর্তমান অন্যান্য ধর্মালম্বির মানুষের পাওয়ার বেশি তাই পাওয়ার পাওয়ার কারনে তাদের সাপোর্ট করে এবং নাস্তিক হয়ে ইসলামকে অপছন্দ করে।
  3. ধনী হওয়ার জন্য। ইসলামে সৎপথে টাকা ইনকাম করার কথা বলা হয়েছে এবং জাকাত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এরা যদি ইসলামের পথ থেকে সরে আসে তাহলেতো এসব করা লাগবেনা রাতারাতি ধনী হয়ে যাবে এর জন্য ইসলামি আইন পছন্দ করে না।
  4. ক্ষমতার লোভো। ইসলামের পথে চললেতো যারা আলেম তাদেরকে সন্মান করতে হবে আর সন্মান করলে তাদের আইনের কথা মানতে হবে এতে তাদের ক্ষমতা থাকবেনা তাই তারা এপথ বেছে নেয়।
  5. এগুলো ব্যতিত আরো কিছু কারন রয়েছে যা লিখে বলা সম্ভবনা।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নাস্তিক সাধারণত চার ধরণের হয়। 1. স্বনাস্তিক। 2. পেইড নাস্তিক। 3. ভিসা সিকার নাস্তিক। 4. হুজুগে নাস্তিক। ব্যাখ্যা দিলেই বুঝে যাবেন। স্বনাস্তিক: এরা আসলে প্রকৃত নাস্তিক। এরা কোনরকম সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, কিন্তু যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে তাদের বিশ্বাস বা ধর্মীয় অনুভূতিতে কোন আঘাত হানে না। এরা নিজেদের মতো করে সত্যটাকে খুঁজে বেড়ায়। পৃথিবীর সব ঘটনার পেছনে এরা কারণ খুঁজে এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ অবশেষে স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী হয়ে উঠে। পেইড নাস্তিক : এরাই মূলত সবচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী হয়। এর দুটি কারণ।  নাম্বার ওয়ান- ইসলাম বিদ্বেষীতার জন্য এরা গোপনে ডলার প্রাপ্ত হয়। এরা সব কিছু জেনে বুঝেও ইসলাম বিরোধীতা করে। সারা বিশ্বে তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে যে ইসলামোফোবিয়া ছড়ানো হচ্ছে, এরা সেই সব তথ্য সন্ত্রাসী। মিথ্যা, বানোয়াট ও অযৌক্তিক প্রশ্ন তুলে ও বিতর্ক সৃষ্টি করে পুরো বিশ্বে ইসলামকে বিতর্কিত করাই এদের কাজ। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে নব্য ক্রসেডাররা ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য জগতের যুদ্ধ চালায়।এরা মাঝে মাঝে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধেও টুকটাক বলে যাতে এদের নাস্তিকতার আবরণে ইসলাম বিদ্ধেষই একমাত্র কাজ সেটা প্রমাণিত হয়ে না যায়। এদের মধ্যে পাকিস্তানের সালমান রুশদী ও আমাদের দেশের তাসলিমা নাসরিন এবং হুমায়ূন আজাদ অন্যতম। ভিসা সিকার নাস্তিক : এরা হচ্ছে এক শ্রেণির নিম্নরুচি সম্পন্ন প্রাণী, যারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেই পশুর মতো জীবন যাপন করতে, অর্থাত জন্মাবে>সম্পত্তি করবে, খাবে, টয়লেট সারবে> মরে যাবে। এদের কাছে অর্থই সব, অর্থের জন্য এরা যে কোন কাজ করতে পারে। এদেরকে ইসলাম বিদ্ধেষী তথ্যসন্ত্রাস যুদ্ধে শরীক জার্মানী খুবই কাজে লাগায় যেমনটা হালের বলদকে কৃষক কাজে লাগায়। এদের কোন ধর্মেরই জ্ঞান নেই, তবে এরা ইসলাম বিদ্ধেষিতা বেশি করে করে যাতে জার্মানীতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠির রোষানলে এরা পড়ে ইচ্ছাকৃত। এদের মুখের ভাষা হয় চরম নিম্ন মানের, গালিগালাজ, নেশা-ভাঙ ও অশ্লীল বিকৃত যৌনতা এদের মস্তিষ্ককে আচ্ছন্ন করে রাখে। এরা সবচে নিম্নরুচি সম্পন্ন ও খারাপ ধরণের হয়, তবে ইসলামের জন্য এরা অতটা ক্ষতিকর হতে পারে না।  এদের মধ্যে অন্যতম আমাদের দেশের রাজীব(থাবা বাবা), আসিফ (বর্তমানে জার্মানে আশ্রিত) এবং সাজু। হুজুগে নাস্তিক : এরা হচ্ছে অদ্ভুত ধরণের নাস্তিক। এরা বিজ্ঞানের খুব কিছু না বুঝলেও কথায় কথায় বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে। এবং ধর্মের কোন জ্ঞানই এদের নেই। ফলে এরা ধর্মীয় কোন নিয়ম কানুন যা তাদের উন্মত্ত জীবন যাপনে বাধা হয়ে দাড়ায় এমন সব কিছুর অন্ধ বিরোধীতা করে যায়। এধরণের নাস্তিকদের আসলে কোন আদর্শ নাই এবং এরা জানেও না আসলে এরা কী করছে। এদের আবার মাঝে মাঝে জুমার নামাজেও দেখা যায়। এদের কাছে নাস্তিকতা মানেই ইসলাম বিদ্ধেষীতা। এরা ভাবে , একমাত্র ইসলাম বিদ্ধেষীতা করলেই বুদ্ধিজীবী হওয়া যায়, জ্ঞানী হওয়া যায়। সুতরাং আমরা উপসংহারে এই কথাই বলতে পারি যে,  সকল নাস্তিকই ইসলাম বিদ্ধেষী নয় কিন্তু মুসলিম নামধারী সকল ইসলাম বিদ্ধেষীই নাস্তিক। নাস্তিকদের কেউ কেউ শুধু মাত্র ইসলাম বিদ্ধেষীতা প্রচারের তথ্য সন্ত্রাস বাস্তবায়নে ইসলাম বিরোধীতা করে, কেউ কেউ উন্নত জীপন-যাপনের আশায় ইসলাম বিদ্ধেষীতা করে আর কেউ কেউ না বুঝেই ইসলাম বিদ্ধেষিতা করে। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ