আপনি নিশ্চয়ই বই পড়ার সময় অমনোযোগী ছিলেন যার ফলে আপনি আপনার পড়ার দিকে মনোযোগ না দিয়ে অন্য কিছু চিন্তাভাবনা করেন ।ওই চিন্তাভাবনার কারণেই আপনার ঘুম আসে ।আমরা সাধারনত পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করি। এছাড়া আপনি বইপড়ার শুরুতে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ে বসবেন দেখবেন কোন শয়তান আপনাকে বশ করতে পারবে না। মূলত আপনি শয়তানের বশবতী হয়ে পড়া থেকে দূরে সরে যান এবং ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
কোনো কাজে অনীহা ও বিরক্তি থাকলে সে কাজটি করার সময় ঘুম এসে যায়। এটা তো জানা কথাই। আপনারও জানার কথা। প্রায়ই কার্টুনে দেখবেন বাচ্চারা কোনী কাজ করতে করতে বা কোনো বিরক্তিকর প্রোগ্রাম দেখতে দেখতে বিরাট হাম তুলছে। সেরকমই। পড়াশুনাকে সবার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ মনে হয়। আমারো মনে হত। আজকাল আর হচ্ছে না। আপনি পড়াটাকে উপভোগ করতে শিখুন। পড়তে বসার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ও মুখ ধুয়ে, চা খেয়ে তারপরে বসতে পারেন। তাহলে ঘুম আসবে না।
বিশেষ করে আমরা দিনে যখন বই পড়ি তখন বই পড়ার সাথে সাথে চারপাশের বিভিন্ন পরিবেশের দিকে চোখ যাই। যার ফলে ঘুম আসে না। কিন্তু রাতে পড়ার সময় শুধুমাত্র বইয়ের দিকেই চোখ থাকে। এজন্য আমাদের অনিহা জন্মায় যার ফলে ঘুম আসে। আমাদের মাঝে মাঝে এমনটা ও হয় যে, আমরা বই পড়ছি। কিন্তু কি পড়ছি এটা জানিনা। শুধু পড়েই যাচ্ছি। তখন ব্রেইন সক্রিয় থাকে না। আমরা অমনোযগী হয়ে পড়ি। কিন্তু যখন মনযোগ দিয়ে পড়া হয় তখন ব্রেইন কাজ করে যার ফলে আমাদের ঘুম আসে না। আমরা যখন কোনো কিছু লিখি তখন ব্রেইন সক্রিয় থাকে তাই ঘুম আসে না।
এটা কোন সমস্যা না। এটা নির্ভর করে আপনি কি পড়ছেন, কখন, কোথায় এবং কিভাবে পড়ছেন।
আপনি যখন কোন বরিং বা আনইন্টারেস্টিং বা কঠিন কোন বিষয় যেমন ক্লাসের পাঠ্য বই পড়েন, তখন স্বাভাবিক ভাবে আপনার মন এটা গ্রহণ করতে চাই না , সে চাই নিজেকে চাপ মুক্ত রাখতে এবং এই বিষয় থেকে দুরে থাকতে । ফলে ঘুম ঘুম ভাব আসে। সুতরাং চেষ্টা করুন কিভাবে মজা বা আনন্দ নিয়ে পাঠ্যবই পড়া যায় ।
এমন কোন স্থানে বসে পড়াশোনা করা উচিত না যেটা খুব আরামদায়ক। যেমন অনেকেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়াশুনা করে।সবসময় সোজা হয়ে বসে পড়ার চেষ্টা করবেন।
পড়ার মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত। আপনি সময় হিসাবে (এক ঘন্টায় পাঁচ মিনিট )বা বিষয় ভিত্তিক বিরতি নিতে পারেন(একটা টপিক শেষে বা কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে)।
তাহলে আপনার ভিতরের বিরক্তিবোধ বা একঘেঁয়ে জিনিসটা কেটে যাবে।
আর পড়ার সময় আমাদের চোখ বইয়ের পৃষ্ঠার উপর এদিক ওদিকে নড়াচড়া করে এবং মস্তিষ্ক তখন বইয়ের ঐ বর্ণগুলোকে বোধগম্য শব্দ, বাক্যকে পরিণত করে। এর ফলে মস্তিষ্ক ও চোখের পেশীগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়ে।ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম বোধ হয় ।
এছাড়াও পড়ার সময় শুধু মাত্র অল্প কয়েকটি অঙ্গ ব্যবহৃত হয় এবং অন্য অঙ্গগুলো রিলাক্স অবস্থায় থাকে।তখন মস্তিষ্ক ভাবে এখনে এখন বিশ্রামের সময় ।ফলে ঘুম ঘুম আসে।
এছাড়াও কম আলোতে পড়াশোনা করলেও ঘুম ঘুম আসে। যাদের চোখে পাওয়ারের সমস্যা আছে তাদের উচিত সঠিক পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করা।এর কারণেও পড়তে বসলে ঘুম আসতে পারে।
সুত্র Why do i get sleepy when i start reading?