যে মেয়ে ফেসবুকে নিজের ছবি আপলোড করে, ছেলেদের সাথে কথা বলে, হ্যান্ডশেক করে, হিজাব ভালোে লাগ না— এমন মেয়ে ধর্ম থেকে অনেক দূরে। সে তো সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতি ও সিস্টেমে জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় তাকে বিয়ে করা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনুত্তম। কেননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। তাই রূপ লাবণ্য আর ধন সম্পদ থাকলেই মজে যাওয়া উচিত নয়। আর সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী কোনো বিবেকবান মানুষ এমন মেয়েকে বিয়ে করবেও না। কারণ, কোনো বিবেকবান মানুষই তার স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে ছবি তুলতে ও হ্যান্ডশেক করতে দেবে না। যারা দেবে, তারা বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় তারা 'দাইয়ুস'। তাই এমন মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয়। তবে এক্ষেত্রে ছেলেকেও ধর্মীয় আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে। বোরকাওয়ালী স্ত্রী খোঁজে নিজে বাইরে গিয়ে নষ্টামি করার অবকাশ নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

ইসলাম কখনো এমন মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বৈধতা দেয়না।আল্লাহর রাসুল সঃ বলেন,দুই শ্রেণির মহিলারা জাহান্নামি যদিও  জান্নাতের ঘ্রাণ অনেক দূর থেকে পাওয়া যায়।

১-যারা কাপড় পড়া অবস্থায়ও উলঙ্গ, (যারা এমন টাইট কাপড় পরিধান করে উপর থেকে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বুঝাযায়।)২.যারা পর পুরুষদের নিজেদের প্রতি আকর্ষিত করে এবং তারাও পরপুরুষ এর প্রতি আকর্ষিত হয়।মানে আল্লাহর নবী এমন নারী থেকে সতর্ক করেছেন।সুতরাং আপনার জন্য এমন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ঠিক হবে না।

                  


وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «مَا تَرَكْتُ بَعْدِىْ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

পরিচ্ছদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩০৮৫-[৬] উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার (ইন্তেকালের) পরে আমার উম্মাতের পুরুষদের জন্য নারী অপেক্ষা অধিক ফিতনার শঙ্কা আর কিছুতেই রেখে যাইনি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]







[1] সহীহ : বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৭৪০, তিরমিযী ২৭৮০, ইবনু মাজাহ ৩৯৯৮, সহীহাহ্ ২৭০১, সহীহ আল জামি‘ ৫৫৯৭। 

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) 

ব্যাখ্যাঃ

ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, নারীদের ফিতনা অবশ্যই অন্যান্য বিষয়গুলো থেকে অধিক কঠিন এবং আল্লাহর বাণী এটাই সমর্থন করে, ‘‘মানব জাতিকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৪)। তিনি তাদেরকে দুনিয়ার মোহ ভালোবাসার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কোনো কোনো ‘উলামাগণ বলেন, নারীদের সবকিছুতে অনিষ্টতা আছে, বিশেষ করে তাদের হার না মানা স্বভাবে আরো বেশী অনিষ্টতা রয়েছে। সেই সাথে তাদের জ্ঞানের কমতি ও দীনের কমতিও রয়েছে। জ্ঞানের কমতি হলো, পুরুষকে তার মোহে অন্ধ করা। আর দীনের কমতি হলো, দীনের কর্মের বিষয়ে উদাসীন থাকা এবং দুনিয়া অনুসন্ধানের ফলে পরকালীন ধংস ডেকে আনা। আর এটাই বড় ফাসাদ বা বিপর্যয়। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫০৯৬; শারহে মুসলিম ১৭/১৮ খন্ড, হাঃ ২৭৪০; মিরকাতুল মাফাতীহ)       

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ