ধরুন আমি ১টি মাত্র মেয়ের সাথে প্রেম করি এবং আমি তার সাথে মোবাইলে কথাও বলি, যদি তার সাথে কুরআন ও হাদিস নিয়ে কথা বলি, সেই প্রেম টা কি জায়েজ হবে নাকি নাজায়েজ হবে? আমি তার সাথে দুনিয়াবি কোন কথা বললাম না, তার সাথে কি সম্পর্ক রাখা যাবে, দয়া করে আমাকে উত্তর দিন কুরান বা হাদিসের মাধ্যমে|
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

একজন মুসলিম নর অপর মুসলিম নারীর সাথে তখনই ঘর-সংসার করার বৈধতা পায় যখন তাদের মধ্যে ইজাব-কবুল তথা প্রস্তাব দান ও তা গ্রহণ করা হয়। কেননা, ইসলাম কিংবা প্রচলিত আইন কোন দিক থেকেই ইজাব-কবুলের আগে তারা পরস্পর স্বামী স্ত্রী হিসেবে পরিগণিত হয় না। কোন সভ্য সমাজে যদি একজন পরনারীর সাথে কোনপুরুষের চলাফেরা করাকে দোষণীয় মনে করা হয় তাহলে, কেন বিবাহের আগে এদের পরস্পরের সাথে চলাফেরা করা দোষণীয় হবে না? শুধুমাত্র মনের মিলের কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়ে যায় না। কেননা, বিবাহে হাজারো ওয়াদা থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় কথা পাকা পাকি করা সত্ত্বেও বিবাহ ভেংগে যায়। কখনও কখনও বিবাহের মজলিসেও বিবাহ ভেংগে যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এমতাবস্থায় বিবাহের আগে সামান্য সম্পর্ক রাখাও বৈধ নয়। কেননা, নির্জনে বেগানা পুরুষ ও নারীর একত্রে অবস্থান করা হারাম। এমতাবস্থায় শয়তান হয় তাদের সঙ্গী ও তৃতীয়জন। রাসুল (সাঃ) বলেছেন: কোন পুরুষ যেন অন্য কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে একত্রিত না হয়, কেননা, তখন তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (তিরমীজি, নাসায়ী, আহমদ) বেগানা পুরুষ ও নারীর এই নির্জনাবস্থানই এ সমাজের অনেক পাপের মুল। এর কারণে তারা অনেক সময় অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাদের যদি একে অপরের সাথে সাক্ষাত করতে হয় তবে, অবশ্যই তাদের সাথে তৃতীয় কোন মাহরাম আত্মীয় থাকতে হবে। এবং এ পাত্রীর সাথে পর্দা করতে হবে। কেননা, শুধুমাত্র ইজাব কবুলের পরেই তাদের সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তখন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা করতে হবে না। কেননা, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পর্দা নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sanjoyrand1

Call

শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? ৫) সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত নং ৯০ থেকে ৯১ আপনি হয়তো এখন বলতে পারেন যে, মদ বা জুয়া মানূষের ক্ষতির কারন, কিন্তু যদি একটু মদ খাই তাহলে কিবা ক্ষতি হবে। আসলে ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে গুনাহ থেকে বাচতে বিভিন্ন উপায় বলে দেয়, আজ একটূ খাবেণ, কাল আরেকটু এভাবে একদিন শয়তান আপনাকে পথভ্রষ্ট করে দিবে। ঠিক তেমনি আপনি মোবাইলে হাদিস ও ইস্লামিক গল্প করলেও শয়তান আপনার পিছনে লেগে থাকবে। এবং আস্তে আস্তে আপনাকে জিনা করতে প্রলুব্ধ করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ