শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

গ্লাসে যদি ঠাণ্ডা পানি রাখে সেই ঠাণ্ডা পানির শীতে ঠাণ্ডা হয়ে যায় আশে পাশের বায়ুগুলোও। সেখানে থাকে বাষ্প হয়ে যাওয়া পানির কণা। এই ঠাণ্ডার সংস্পর্শ পেয়ে তারা একে আরেকের সাথে জমতে থাকে। জমে জমে হয়ে যায় আস্ত এক পানির কণা। আর তাই গিয়ে জায়গা করে নেয় গ্লাসের গায়ে। আমাদের পানি কমে যাবার ভয় নেই তা হলে। চুইয়ে চুইয়ে তো আর পানি আসছে না! আমাদের ভিতরের পানি পালিয়ে যাচ্ছে না। পানি যখন আমারটা আমার কাছেই আছে তখন বাইরে থেকে অতিরিক্ত পানি আসলে আসুক না। মানা করল কে?
তবে তো গরম পানির গ্লাসেও বাষ্প জমে। সেটা জমে কি করে? ওহ হো! তাই তো বলি! আসলেই তো গরম করে পানি গ্লাসে রাখলেও তো গ্লাস ওঠে ঘেমে।
গরম পানিতে পানি কণা জমলেও তা গ্লাসের বাইরে জমে না। গ্লাসের ভিতরকার দেয়ালেই জমে। গরম পানিতে পানি গরম হবার কারণে তা থেকে তখনো বাষ্প বের হয়। সেই বাষ্পই গ্লাসের ভিতরের গায়ে লেগে লেগে একসাথে হয়ে তৈরি করে পানির কণা। সেজন্যই সেটা হয় ভিতরে। আর তখন যদি সে গ্লাসকে কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে দেয়া যায় তবে তো কোনো কোথাই নাই! ঢেকে দিলে তখন বাষ্প বের হবার ই পাবে না চান্স! তখন অনেক বাষ্প জমবে তাতে।
একবার এক শীতের রাতে আমি টেবিলে পড়ছিলাম। হাড় কাঁপানো শীত। বাইরে প্রবল কুয়াশা। একটা সময় দেখা গেল জানালার কাচের ভিতরের দিক থেকে এসে জমেছে কুয়াশা। হয়ে গেছে পানির কণা। ভাইয়ের তো চিৎকার! বাইরে থেকে কুয়াশা চলে এসেছে ভিতরে, গ্লাস চুইয়ে চুইয়ে। কাচ ব্যাপারী ঠকিয়েছে তাহলে। দুই নম্বর জিনিস গছিয়ে দিয়েছে। আমিতো হেসেই খুন!
কাচ লাগানোতে ঘরে বাইরের তাপমাত্রা আর ঘরের তাপমাত্রায় পার্থক্য হয়েছে বিস্তর। বাইরের দিকের জলকণা হয়ে গেছে কুয়াশা। ভিতরের গুলো এখনো হয় নি। না হলে কি হবে বাইরের ঠাণ্ডা এসে প্রভাব ফেলছে খুব। ভিতরের বাতাসের পানি কণা গিয়ে জমেছে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া কাঁচের গায়ে। তাতেই বুঝা গেল যেন বাইরের কুয়াশা চুইয়ে চুইয়ে ভিতরে চলে এসেছে।

পানিগুলো না মুছলে একসময় নিজে নিজেই আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হয়ে যায় কোথায়? বাতাসেই। বাতাসে পানি কণা অদৃশ্য হয়ে যায় বলেই তো আবার বাতাস থেকেই পানি কণা পাই। পানির গ্লাস ঠাণ্ডা থেকে আস্তে আস্তে গরম হয়ে যায়। গরম হওয়াতে আবার পানি ভেসে যায় বাতাসে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ