শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

বুলেটপ্রুফ গ্লাসের গঠন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এটা একটু অন্যরকম। এতে গ্লাসের স্তরের মাঝে পলিকার্বনেট নামের এক ধরনের প্লাস্টিক থাকে। এই প্লাস্টিকটা স্বচ্ছ এবং ভঙ্গুর নয়, বরং নমনীয়।

এ ধরনের গ্লাসে সবার আগে থাকে গ্লাসের একটা স্তর, যা ভঙ্গুর। এরপর থাকে পলিকার্বনেট প্লাস্টিক যা নমনীয়, যা বেঁকে যেতে পারে সহজে কিন্তু সহজে ভাঙ্গে না। এরপর থাকে আরেকটা গ্লাসের স্তর এবং এভাবে চলতে থাকে। এদেরকে ল্যামিনেটিং করে একসাথে লাগানো হয়। যখন গ্লাসে বাইরে থেকে বুলেট এসে লাগে, তখন তা ভঙ্গুর হওয়ায় অনেকটা অংশ জুড়ে ভেঙ্গে যায়। মানে শুধুমাত্র গুলিটা যে জায়গায় লাগল সেই জায়গাটা ফুটো হয়না বরং তার আশেপাশের অনেকটা জায়গার কাচও ফেটে যায়। এর ফলে যে অংশ জুড়ে ভেঙ্গে যায় ঠিক ঐ অংশগুলো হতে আসা চাপই পলিকার্বনেট প্লাস্টিকের উপর পড়ে।যেহেতু গুলিটা যে বল নিয়ে ছুটে আসে তা কাচের উপর আঘাত করে একটা বড় অংশ জুড়ে কাচকে ভেঙ্গে ফেলে তাই ঐ বলের দ্বারা সৃষ্টি হওয়া চাপের মান কমে যায়।

এই কম মানের চাপ যখন নমনীয় প্লাস্টিকটার উপর পড়ে তখন তা আর প্লাস্টিককে ভেদ করতে পারেনা।ভেদ করে গেলেও পরের স্তরের কাঁচে গিয়েই আটকে যায় কারণ ততক্ষণে গুলিটার সব এনার্জি absorb হয়ে গেছে! এখানে বলে রাখা ভাল যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি হবার পর কিন্তু এই গ্লাস আর বুলেটকে আটকাতে পারেনা কারণ জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়।

অনেক সময় এমন গ্লাসও পাওয়া যায় যা একদিক থেকে (বাইরের দিক) আসা গুলিকে আটকে ফেলে কিন্তু ভেতর থেকে নিক্ষিপ্ত হওয়া গুলিকে ঠিকই বাইরে যেতে দেয়। অর্থাৎ আক্রান্ত হলে গাড়ির ভেতর থেকে বাইরে গুলি করা যায়। এসব বুলেটপ্রুফ গ্লাসে বাইরে ভঙ্গুর কাঁচ থাকে, এরপর থাকে নমনীয় পলিকার্বনেট প্লাস্টিক। এরপর আর কোন কাঁচের স্তর থাকেনা। বাইরে থেকে যখন গুলি আসলে আগের প্রক্রিয়াতেই তা আটকে যায়। কিন্তু ভেতর থেকে গুলি করা হলে এখন গুলির পুরো বলটা একটা বিন্দুতে পড়ে। কারণ এখন তো আর ভেতরের দিকে ভঙ্গুর কাঁচ নেই। তাই চাপও অনেক বেশি হয়। এই বেশি মানের চাপ ঠিকই বাইরের ভঙ্গুর কাঁচটাকে ভেঙ্গে ফেলে বাইরে চলে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ