শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ওযু করার পর মসজিদে গিয়ে বসার পূর্বে যে ২ রাকাত   নামায আদায় করতে হয় তা নফল নামায না সেটি হলো  দুই রাকাত তাহিয়াতুল ওযু  সুন্নত  নামায। 

 দুই - রাকাত তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়্যতঃ

نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ التَّحِيَّةُ الْوُضُوْءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি  তা’আ-লা  রাকাআতাই ছালাতিল তাহিয়্যাতুল অজু  সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা অর্থঃ দুই রাকাত  তাহিয়্যাতুল অজু নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

বিঃদ্রঃ এই দুই রাকাত নামায আদায় করা আবশ্যিক নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mahadi

Call

অজু করার পর যেমন নামাজ আছে তেমনি মসজিদে প্রবেশ করেও এক প্রকারের নামাজ আছে। দুই নামাজই আলাদা এবং দুই ধরনের নামাজ সম্পর্কে হাদিসে রয়েছে। নিচে এ প্রসঙ্গে দেয়া হলো:


এক- অজু করার পর অজুর অঙ্গগুলো শুকানোর পূর্বেই দুই রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব। ইসলামী পরিভাষায় এই নামাজকে “তাহিয়্যাতুল অজু” বলে। তাহিয়্যাহ অর্থ হচ্ছে- উপঢৌকন বা তোহফা। এ নামাজ যদিও বাধ্যতামূলক নয়, তবে এর অনেক ফযিলত রয়েছে। হাদীস শরিফে এসেছে,

عَن عقبَة بن عَامر الْجُهَنِيّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْه، أَن رَسُول الله ﷺ قَالَ: “مَا من أحد يتَوَضَّأ فَيحسن الْوضُوء، وَيُصلي رَكْعَتَيْنِ يقبل بِقَلْبِه وَوَجهه عَلَيْهِمَا؛ إِلَّا وَجَبت لَهُ الْجنَّة

উকবা ইবনু আমির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন, যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম ২৩৪, আবু দাউদ,৩০৪)

তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের নিয়ত:
আরবি নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি  তা’আ-লা  রাকাআতাই ছালাতিল তাহিয়্যাতুল অজু  সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় নিয়ত: আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামুখী হয়ে  দু’রাকাত তাহিয়্যাতুল অজুর নামাজের নিয়ত করছি- আল্লাহু আকবার।

দুই- আর মসজিদে প্রবেশ করার পর যে নামাজ তার নাম তাহিয়্যাতুল মাসজিদ। এটাকে দুখুলুল মাসজিদও বলা হয়। দুখুলু বা দাখিল অর্থ হচ্ছে- প্রবেশ করা। এটা মুস্তাহাব। 
হাদীসে এসেছে- قَالَ النَّبِيُّ َ ﷺ‏ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ 
রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’ রাকাত নামাজ (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) আদায় করার আগে বসবে না। (সহিহ বুখারী: ২৬৪)

তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজের নিয়ত:
আরবি নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লা-হি  তা’আ-লা  রাকাআতাই ছালাতিল তাহিয়্যাতুল মসজিদ  সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়ত: আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে  দু’রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদ নামাজের নিয়ত করছি- আল্লাহু আকবার।
 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

 

নিয়ত মানে মনের সংকল্প। আর তার স্থান হলো অন্তর মুখ নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবাদের কেউ কোন নির্দিষ্ট শব্দ মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাছাড়া নিয়তের জন্য কোন বাঁধা-ধরা শব্দাবলীও নেই।

তাহিয়্যাতুল অজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ বা অন্য যেকোন নামাজ এর আরবিতে যেই নিয়তগুলো প্রচলিত আছে তার কোনটাই কুরআন বা হাদীস থেকে আসে নাই। এটা শুধুমাত্র আরবি ভাষায় বলা কয়েকটা কথা মাত্র।

যেটা আপনি নিজের মনে যেকোন নামাজ এর আগে অলরেডি চিন্তা করে ফেলেছেন আর এটাই নিয়ত।

অর্থাৎ নামাযী যখন নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করে সেটাই নামাযের নিয়ত হয়। অতঃপর যখন সে তাহিয়্যাতুল অজু বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ  নামায সম্পাদনের জন্য দাঁড়ায় তখন সেটাই তার উক্ত নামাযের নিয়ত হয়।

অনুরূপ সুন্নত, নফল, ১, ২, ৩, বা চার রাকাআত পড়ার তার অন্তরে যে ইচ্ছা জাগে সেটাই নিয়ত। মুখে শব্দ দ্বারা কোন কিছু বলার প্রয়োজন নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ