খুবই সোজা। প্রথমে পরমাণুর ইলেকট্রন সংখ্যা জানতে হবে। তারপর শক্তিস্তর ও উপশক্তিস্তর সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হবে। শক্তিস্তর সাধারণত ৭ টি, এগুলোকে উর্ধ্বক্রমাণুসারে K, L, M, N.... দ্বারা অভিহিত করা হয়। ইলেকট্রন বিন্যাসে 1, 2, 3, 4.... হিসেবে লেখা হয়। উপশক্তিস্তর ৪ টি, s p d ও f..... এগুলোতে যথাক্রমে ২, ৬, ১০ ও ১৪ টি ইলেকট্রন থাকতে পারে। এর মধ্যে ১ নং শক্তিস্তরে একটি উপস্তর থাকে, ২ নং এ দুইটি, ৩ নং এ তিনটি এবং বাকিগুলোতে ৪ টি করে থাকে। একটি উদাহরণ দেখা যাক- সালফার (S), এর ইলেকট্রন সংখ্যা ১৬ টি। তাহলে ইলেকট্রন বিন্যাস: 1s2, 2s2, 2p6, 3s2, 3p4 লক্ষ্য করুণ, প্রথম শক্তিস্তর পূর্ণ করে ক্রমান্বয়ে ইলেকট্রন বিন্যাসিত হয়েছে। প্রথন স্তরে 2টি, দ্বিতীয় স্তরে ২+৬ = ৮ টি, তৃতীয় স্তরে ২+৪ = ৬ টি ইলেকট্রন রয়েছে। এখানে 3p6 হয়নি কারন মোট ইলেকট্রন সংখ্যা ছিলো ১৬ টি, তৃতীয় শেলের p উপস্তরের জন্য ৪ টি ইলেকট্রনই বাকি ছিলো। ইলেকট্রন প্রবেশের পূর্ণ ধারাটি হলো: 1s, 2s, 2p, 3s, 3p, 4s, 3d, 4p, 5s, 4d, 5p, 6s, 4f, 5d, 6p, 7s, 5f, 6d ধারাটি উল্টোপাল্টা কেনো তা উপরের ক্লাসে বুঝতে পারবেন, একে হুন্ডের নীতি বলে। উপরোক্ত ধারা অনুসারেই ইলেকট্রন বিন্যাস করবেন। তবে বিন্যাস লেখার সময় সিরিয়ালি লিখবেন। আপনার সুবিদার্থে আরেকটি উদাহরণ দিলাম: Sc, (21) - 1s2, 2s2, 2p6, 3s2, 3p6, 3d1, 4s2 আমরা যদি একটানা ইলেকট্রন বসাতাম তাহলে 3d3 লিখলেই হতো, কিন্তু উপরের ধারা অনুযায়ী আগে 4s এ ইলেকট্রন প্রবেশ করে তারপর ৩d তে এসেছে। কিছু ব্যতিক্রম আছে। কখনো যদি দেখেন শেষে 4s2 আর তার আগে 3d4 থাকে তাহলে 4s থেকে একটি ইলেকট্রন 3d তে পাঠিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ 3d5, 4s1 হবে। অর্থাৎ শেষ ও তার আগের স্তর অর্ধেক পূর্ণ করা সম্ভব হলে এরকমটা হবে। না বুঝলে মন্তব্যে জানাতে পারেন।