উপায়গুলো: ১. মোজা ছাড়া জুতো জুতো পরার সময় অবশ্যই মোজা ব্যবহার করুন। কারণ পাতলা সুতির মোজা পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে এবং তা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়ক। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। সিনথেটিকের বা উলের মোজাও ঘাম-রোধক। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে। ২. টি ব্যাগ ব্যবহার পায়ের পাতায় ঘাম হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চা-পাতা ব্যবহার করতে পারেন। ফুটানো চা-পাতা দিয়ে প্রতিদিন ২০ মিনিট করে পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ঘামার পরিমাণ কমে যাবে। ফুটানো চা- পাতার এসিড জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে এবং পায়ের খোলা লোমকূপগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ৩. জীবাণুনাশক ব্যবহার প্রতিদিন একবার অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল ফুট স্প্রে ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা কমবে। স্প্রে করতে না চাইলে অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। পায়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল স্প্রে করে বা পাউডার দিয়ে তারপরে মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ে জীবাণুর বিস্তার কম হয়। ফলে দুর্গন্ধও হয় না। ৪. প্রতিদিন জুতো পরিবর্তন একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম শুকনোর সময় পায় না। সেই জুতোই আবার পরলে জীবাণু বাসা বাঁধে পায়ে। তার থেকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া জুতো পরুন। ৫. পায়ের পাতায় হাওয়া লাগান যতটা সম্ভব পায়ের পাতা খোলা হাওয়ায় রখুন। তাই সময় পেলে অফিসে কাজের ফাঁকে বা গাড়িতে যাওয়ার সময় জুতা খুলে রাখতে পারেন। এতে পায়ের পাতা অক্সিজেনের সংস্পর্শে থাকে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই দুর্গন্ধও হয় না। সুত্র:কালের কন্ঠ
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করার প্রথম কথা হল পায়ের যত্ন নিতে হবে। পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা বেশ জরুরি। জুতা-মোজা সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। এছাড়াও কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে- পা পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুতে হবে। সাবান দিয়ে ধোয়াই সবচেয়ে ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ সবচেয়ে উত্তম। হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুলে ত্বকে জমে থাকা জীবাণু কমবে। লেবুর রস বা জ্বাল দেয়া ঠাণ্ডা কালো চা পানিতে মিশিয়ে সে পানিতে কয়েক মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে লেবুর রস বা চায়ের এসিড জীবাণু নষ্ট করবে।
পায়ে অতিরিক্ত ঘাম এবং দূর্গন্ধ দূর করতে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে যেমন: ১। পা সব সময় পরিষ্কার রাখা, ২। পায়ে মোজা ব্যবহার করা জুতো পরিধান করার সময় ৩। গোসল করার সময় জীবাণু মুক্ত সাবান দিয়ে পা ভালো পাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, ৪। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত হেক্সাহাইড্রেট যুক্ত লোশন বব্যহার করা যেমন:( ড্রাইকেয়ার) এটি একধরনের বিশেষ লোশন যা হাত-পায়ে শরীরে মাখলে ঘামানো বন্ধ হয়ে যায় এবং দূর্গন্ধ দূর হয়। উপরের এইসব দিক মেনে চললে আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন ধন্যবাদ।
দুর্গন্ধ ও ঘামযুক্ত পায়ের ট্রিটমেন্ট – পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে বিব্রতকর অবস্থাতায় পড়তে হয়। • পায়ের তালুতে গরম পানির ছোঁয়া – গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। • মোজা – মোজার কাপড় টা এমন হওয়া উচিত যেন বাতাস এর ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে। উল আর ম্যানমেড ফাইবারের সংমিশ্রণে তৈরি মোজাই উৎকৃষ্ট। প্রতিদিন পরিষ্কার ভাবে ধোয়া মোজা পরবেন। • জুতা – চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।
বাইরে বেরোলে ছেলেদের পায়ে বেশি ময়লা জমে। যা থেকে সহজে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। নখ পরিষ্কার না করলে সেখানে ময়লা জমে পায়ে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে এবং নখ সহজে ভেঙে যেতে পারে। পায়ের আঙুলের যত্নেও তাই সচেতন থাকতে হবে। এ জন্য মাসে অন্তত দুবার পেডিকিওর করানো উচিত। এতে নানা ধরনের ফুট ম্যাসাজ করানো হয়। নখ কাটা, আঙুল পরিষ্কার, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদি স্থানে জলপাই তেল ও লোশন ব্যবহার করা হয়। পেডিকিওরে মরা চামড়া সহজে তুলে ফেলা হয়। পায়ের ত্বক শুষ্ক হলে জলপাই তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা উচিত বলে জানান তানজিমা শারমিন। পায়ে বাতাস চলাচল করতে না পারলে সেখানে ঘেমে গন্ধ হয়। তাই জুতা কেনার সময়ে এদিকে লক্ষ রাখা উচিত। যাঁদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাঁরা মোজা ব্যবহারে একটু সচেতন থাকুন। বাতাস চলাচল করে এমন নরম মোজা ব্যবহার ভালো। মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করে শুকাতে দিন। জুতা রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া খোলামেলা স্থানে জুতা রাখুন। বেশি পুরোনো স্যান্ডেল না পরাই ভালো। বাজারে ঘাম প্রতিরোধক লোশন পাওয়া যায়, এটিও ব্যবহার করতে পারেন।