কিছুদিন যাবং পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না। এর জন্য পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে।। কিন্তু আগে আমি পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিলাম।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HridoyJoy

Call

পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার উপায় "মনোযোগ" খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিক্ষার্থী ১. পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মন বিক্ষিপ্ত হয়। প্রতিদিন ৫থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারলে মন স্থির থাকে। ২. ব্যায়াম স্মরণশক্তি ও মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। এ জন্য ব্যায়ামবীর হতে হবে এমন কথা নেই। এটুকু মেনে নিতে হবে যে আপনার দেহ সম্পদ; দায় নয়। এর রক্ষায় পরিচর্যা প্রয়োজন। ৩. ই-মেইল, ফেইসবুক এবং টুইটার এর মতো অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল ফোন ইত্যাদি আপনার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। এগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। আলোর ঝলকানি দেয় এমন ডিভাইস, জোরে শব্দ করে বা ভাইব্রেট করে এমন যন্ত্র দূরে সরিয়ে দিন। ৪. ঘুম, কাজ ও বিশ্রামের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত। এর ব্যতিক্রম হলে অতিরিক্ত সময় ও উদ্যম ব্যয় হবে। নষ্ট হবে মনোযোগ। ৫. রুটিন মেনে চলুন। নিয়মিত কোনো কাজ করলে তা আপনার দেহের হরমোনকে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চালিত করে। এতে দেহের উদ্যম বাড়বে এবং সকাল থেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সম্ভব হবে। ৬. জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। লক্ষ্য ঠিক করার পর ভাবুন আপনি ঠিক কোন কাজটি করতে চান। যখন আপনি জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা গড়তে পারবেন, তখন কোনো বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া অনেক সহজ হবে। ৭. আপনার নিজস্ব আগ্রহের বিষয়েই মনোযোগ দিন। আগ্রহের বিষয়ে কাজ করা সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এতে মনোযোগ ধরে রাখাও সহজ হয়। ৮. নিজের অসমাপ্ত কাজগুলো মনে করে নেওয়ার জন্য প্রতিদিন ডায়েরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন। এটা একটি দারুণ উপায়। এতে নিজের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার তাগিদ পাওয়া যাবে। ৯. কাজের অগ্রগতির সময়ই বিরতি নিন। যখন কোনো কাজে আপনার ভালো অগ্রগতি হতে থাকে, সে সময়ে বিরতি নিন। এতে আপনি দ্রুত ফিরে এসে কাজটি আবার শুরু করার মতো যথেষ্ট উদ্যম পাবেন। ১০. শব্দরোধী হেডফোন ব্যবহার করলে তা শুধু শব্দই কমাবে না, এতে আপনার সহকর্মীদের জানানো হবে যে আপনি কোনো অনাকাঙ্ক্ষ শব্দ পছন্দ করেন না। ১১. বই পড়ার অভ্যাস আপনাকে কোনো একটি বিষয়ে দীর্ঘ সময় মনোযোগ দিতে আগ্রহী করে তুলবে। তবে মনিটরে নয়, বই হাতে নিয়ে পড়ুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Markaz

Call

পড়াশোনায় মনোযোগী হবার কিছু উপায়ঃ ০১. মনস্থিরঃঅমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেইরাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধকরে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন। ০২. শিক্ষকতাঃআপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকেশিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর। ০৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয়ঃআপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি বিষয় যতই পড়ুন না কেন সারাদিন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা বুঝবেন নাযতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতেপারছেন। চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। ০৪. সংযোগঃপ্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধিও অনেক বাড়বে। ০৫. নতুন ধারণা ও পরিচিত ধারণার মাঝে সংযোগঃআপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে। ০৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেয়াঃপরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর কোন মানসিক চাপও থাকবেনা আর আপনি পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে যাবে। ০৭. তথ্যের ধরনঃপড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না বুঝে মুখস্ত করলে তা কোনদিন মনে থাকবেনা। ০৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিতঃসব সময় পুস্তকি বিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত করলে হবেনা। অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সেজন্য দেশ ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস সব সময় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা যায় আর নিজের জ্ঞানের ভিত্তিটা অনেক মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তোলা যায় যাকে ভিত হিসেবে ধরে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন। ০৯. নিজস্ব রীতিঃযখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে। ১০. নোটঃআপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে জ্ঞান আহরণ করা আর পরীক্ষায় ভালো করা। কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালো করার প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত করেসেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের পক্ষেই সম্ভব নয়। সূত্র :ইন্টারনেট

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ