বিভিন্ন ঘুর্ণিঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডো ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর নামকরণ কারা করেন? এবং কিসের ভিত্তিতে করেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটিই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। উত্তর ভারতীয় মহাসগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ওমানের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটি প্যানেল হচ্ছে এস্কেপে। ২০০০ সালে স্কেপের প্রস্তাবানুযায়ী প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি নাম জমা নেওয়া হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য। এখান থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়। আগামী ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা আছে। ২০১৫ তে দেখা দিয়েছে ঘূর্নিঝড় "কোমেন" এর পর পর্যায়ক্রমে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম হলো- চপলা, মেঘ, ভালি, কায়নত্দ, নাদা, ভরদাহ, সামা, মোরা, অক্ষি, সাগর, বাজু, দায়ে, লুবান, তিতলি, দাস, ফেথাই, ফণী, বায়ু, হিকা, কায়ের, মহা, বুলবুল, সোবা ও আমপান। ঘূর্নিঝড়ের তীব্রতা এবং ক্ষতির দিক বিবেচনা করে এদের নামকরন করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আটটি দেশ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামের প্রস্তাব করা হয়। এগুলো হলো ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ওমান, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। 
এই দেশগুলো থেকে আসা নামের প্রস্তাব থেকে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়। তবে নামকরণের ক্ষেত্রে সহজ ও সাধারণ মানুষ উচ্চারণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, এমন নামটি রাখা হয়। যেমন: এর আগে সিডর, আইলা, মহাসেন নামের ঘূর্ণিঝড় ছিল। 
নামের প্রস্তাব আসার পর ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরে বৈঠকের মাধ্যমে প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে একটি নাম বেছে নেয়। তবে একের পর এক সৃষ্ট ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের পাঠানো নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয়। অর্থাৎ এবার মালদ্বীপের প্রস্তাবিত নামটি নেওয়া হয়েছে'' রোয়ানু"। 

পরবর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে অন্য আরেকটি দেশের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে নাম নেওয়া হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ