যেমনঃ 

আগে ছিল Dacca.

তার পর Daka.

এখনে Dhaka

এর কারন বা ইতিহাস কি?


Share with your friends
mydulkhan

Call

ঢাক্কা বা ডাক চৌকি থেকে ‘ঢাকা’ শব্দটি এসেছে । ‘ঢাক্কা’ থেকে যে ‘ঢাকা’ শব্দটি এসছে তার একটি প্রমাণ ছিল ১৯৯০ সালের আগপর্যন্ত ‘ঢাকা’র ইংরেজি বানানে । তখন পর্যন্ত ঢাকার বানান ছিল ডি এ ডাবল সি এ (Dacca),যার উচ্চারণ হুবহু ডাক্কা বা ঢাক্কা’ই দাঁড়ায় । প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে উৎপত্তির প্রমাণক ঐ বানানকে বাতিল করে উচ্চারণানুগ নতুন স্বাব্যস্ত হয় ডি এইচ এ কে এ (Dhaka)। সেই থেকে এখন পর্যন্ত Dacca লিখিত হচ্ছে Dhaka রূপে। ঢাকা যে ঢাক্কা বা ডাক্কা শব্দজাত, তার সর্মথন মেলে অধ্যাপক ডি,সি সরকারের কথায়। তিনি বলেছেন, কহলনের ‘রজতরঙ্গিনী’ গ্রন্ধে ‘ঢাক্কা’ শব্দটি পাওয়া যায় । যার অর্থ হচ্ছে ‘পর্যবেক্ষন ফাঁড়ি’। এই পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি বা অবজার্ভেটরি সেন্টার-এর সমর্থনে আরেকটি তথ্য পওয়া যায়, তা হলো: হিন্দু রাজার রাজধানী বিক্রমপুরে ও সোনারগাঁয়ের জুমদারদের বিদ্রোহাত্মক প্রভাব দমন করতে বা আইন শৃংখলা পরিস্থিতি শাসনানুকূলে আনতে সর্তকতা সরূপ স্থানটিকে ডাক চৌকি বা ঢাক্কা বা ডাক্কা বা ডেক্ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ থেকেই ঢাকা নামটি এসে থাকবে । আসলে, ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে।

Talk Doctor Online in Bissoy App
masudzak

Call

পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঢাকা নামের উৎপত্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। রাজা বল্লাল সেনের মা যখন বিশ্বাসঘাতিনীর অপবাদ মাথায় নিয়ে নিজ স্বামী দ্বারা নির্বাসিত তখন হতোদ্যম মাতা আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে একটি জংগলে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই জন্ম নেন বিক্রমপুরের শাসক বল্লাল সেন। বল্লাল সেন যখন বেড়ে উঠছিলেন জংগলের মধ্যে, এমন একদিন জংগলের আবৃত অবস্থায় একটি দেবমূর্তির দৃষ্টিগোচর হয় তার। তার নিপাট বিশ্বাস এই দেবমূর্তিই তাকে ও তার মা'কে রক্ষা করে আসছে। এ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে তথা একে দৈব সংকেত গণ্য করে ঠিক যে জায়গায় দেবমূর্তিটি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি, সেখানেই একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার নাম দেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। আর এ ঢাকেশ্বরী নাম থেকেই ঢাকা নামের উৎপত্তির আরো একটি চমৎকার বিশ্বাসযোগ্য কিংবদন্তি ইতিহাসে স্থান করে নেয়।


Source: ঢাকা শহরের নামকরণের সর্বাধিক প্রচলিত ইতিহাস

Talk Doctor Online in Bissoy App