শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
komolendu

Call

পাঠ্যবই দেখলেই গুণ গুণ করে গাইতে ইচ্ছে করে ‘আর পারি না; আর পারি না, আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগে, আর বসে না, আর বসে না, আমার মন পড়ার ঘরে।’ এই রকম চিত্র দেখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিনেমা দেখা লাগবে না। প্রায় প্রত্যেকেরই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন সদস্যের এই সমস্যা থাকতেই পারে। মূলত এই পাঠ্য বইয়ের প্রতি অনীহা তরুণদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড়, আড্ডায়ই বেশি মেতে থাকতে দেখা যায় তরুণদের। আবার অনেকেই আছেন যারা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অনেক বই পড়ে থাকেন, কিন্তু পাঠ্যবই ছুঁতে মন সায় দেয় না তাদের। আবার অনেকে পড়াশোনা ছাড়া বাকি সবকিছুকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে পড়াশোনার জন্যই আর সময় খুঁজে বের করতে পারেন না। যা হোক, সব মিলিয়ে যা দাঁড়ায়, তা হচ্ছে—বাইরে পৃথিবীর চকচকে রঙ প্রতিনিয়তই তরুণদের পাঠ্যবই বিমুখ করে তোলে। তাই এবার এই সমস্যা এবং এর প্রতিকার নিয়ে কিছু আলোচনা— প্রথমেই মনোযোগ সবার প্রথমেই মনোযোগ। মনোযোগটা থাকতে হবে নিজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি। মূলত প্রথমেই যদি এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ে মনোযোগী হওয়া যায়। তা হলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অনেক বিরক্তিকর কাজেও নিজেকে মনোযোগী করে গড়ে তোলা যায়। লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী যদি কোনো কাজকে আপনি উপভোগ না করতে পারেন, তা হলে কোনোভাবেই কাজ দিয়ে আপনার পুরো একাগ্রতা নিশ্চিত হবে না। যদি কোনো কাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনি প্রচুর পরিশ্রম করছেন কিন্তু মাঝপথেই থেমে গেলেন। হলফ করে বলতে পারি, উক্ত কাজটি আপনার কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই, নিজের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যখন লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়, তা হলে খুব সহজেই পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগ চলে আসে। কেননা লক্ষ্য পূরণে প্রথম ধাপই হচ্ছে পাঠ্যবই। সহযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা মূলত সম্পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ দরকার। মানুষের চিন্তাভাবনা অনেকাংশেই পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। যেমন- কম্পিউটারে গান চলছে আর আপনি আপনার পড়ার টেবিলে। দুটি কাজের মধ্যে কোন কাজটি আপনি বেছে নেবেন। এই রকম দ্বিধান্বিত পরিবেশে কখনোই পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায় না। এর জন্য প্রথমেই দরকার সুষ্ঠু সুন্দর পড়াশোনার পরিবেশ গড়ে তোলা। তালিকা তৈরি করা শৃঙ্খলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধুমাত্র পড়ার বিষয়েই না জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুশৃঙ্খলতা প্রয়োজন রয়েছে। তাই পড়াশোনার ব্যাপারেও একটি সুশৃঙ্খল তালিকা তৈরি করা যায়। এতে করে সময়ের সম্পর্কে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া যায়। তাই প্রথমে একটি লিস্ট করে নেয়া যেতে পারে। একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে অনেকক্ষণ ধরে একই কাজ করতে খুব সহজেই একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। তাই এর জন্য লিস্ট অনুসারে পড়া উচিত। মাঝে মাঝে বিনোদনেরও দরকার রয়েছে। http://ans.bissoy.com/132115/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি প্রথমে খারাপ বন্ধুদের সংগ ত্যাগ করুন এবং যারা ভাল বন্ধু তাদের সাথে পড়াশুনা নিয়ে আলাপ আলোচনা করুন। রুটিন মাফিক চলাফেরা করুন অর্থাৎ যখন খেলাধুলার সময় তখন খেলুন এবং পড়ার সময় পড়ুন এভাবে আপনি পড়ার প্রতি মনযোগী হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HarryPotter

Call

মনে মধে স্থির করে নিন আজ আপনি কোন অধ্যায় পড়বেন । ঐ অধ্যায় সম্পর্কে আপনার মনের মাঝে একটি চিত্র এঁকে নিন । আর সংকল্প করুন যে আপনি ঐ অধ্যায়টা শেষ করে তবেই পড়ার টেবিল থেকে উঠবেন । আর হে অবশ্যই , পড়া শুরু করার পূর্বে "রাব্বি জিদনী ইলমা" পড়ে নিবেন । এভাবে কয়েক দিন চেষ্টা করুন দেখবেন পড়ার প্রতি আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ