আমি এখানে পড়ার মধ্যের কথা বলছি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যেভাবে পড়তে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করেন সেভাবেই পড়ুন শুধু মনে রাখবেন পড়াগুলো বুঝে ভালবেসে পড়বেন, শুধুমাত্র পরীক্ষায় নাম্বারের জন্য না নতুন কিছু শেখার জন্য পড়বেন আর যা কিছু পড়ছেন সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগের চেষ্টা করবেন তাহলেই সহজে পড়া মুখস্ত হবে। পড়াশোনার জন্য নিরিবিলী জায়গা নির্ধারন করুন তাহলে মনযোগ নষ্ট হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

‘পড়াশোনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’- ছোটবেলা থেকেই এই প্রবাদ শুনিয়ে শুনিয়ে বাবা মা আমদের শুধু পড়তে বসাত। কিন্তু, সমস্যা আমাদের সবারই একই জায়গায়, পড়তে বসলেই মাথায় আসে যত ধরনের চিন্তা। মনোযোগ যে কোথায় গায়েব হয়ে যায় কে জানে! পড়ায় মনোযোগ থাকলে যেটা একবার পড়লেই হয়, মনোযোগ না থাকলে সারাদিন পড়েও লাভ নেই। চলুন প্রিয় পাঠক আমরা জেনে নিই পড়াশোনায় মনোযোগী হবার কিছু উপায়ঃ ০১. মনস্থিরঃ অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫ মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন। ০২. শিক্ষকতাঃ আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর। ০৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয়ঃ আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি বিষয় যতই পড়ুন না কেন সারাদিন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেন। চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। ০৪. সংযোগঃ প্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধিও অনেক বাড়বে। ০৫. নতুন ধারণা ও পরিচিত ধারণার মাঝে সংযোগঃ আপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে। ০৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেয়াঃ পরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর কোন মানসিক চাপও থাকবেনা আর আপনি পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে যাবে। ০৭. তথ্যের ধরনঃ পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না বুঝে মুখস্ত করলে তা কোনদিন মনে থাকবেনা। ০৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিতঃ সব সময় পুস্তকি বিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত করলে হবেনা। অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সেজন্য দেশ ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস সব সময় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা যায় আর নিজের জ্ঞানের ভিত্তিটা অনেক মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তোলা যায় যাকে ভিত হিসেবে ধরে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন। ০৯. নিজস্ব রীতিঃ যখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে। ১০. নোটঃ আপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে জ্ঞান আহরণ করা আর পরীক্ষায় ভালো করা। কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালো করার প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের পক্ষেই সম্ভব নয়। উপরোক্ত ১০টি উপায় মেনে চললে আপনি খুব মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করতে পারবেন আশা করি আর আপনার পরীক্ষায়ও আশানুরূপ ফল প্রদানে এটি সহায়ক হবে। বর্তমান যুগে জ্ঞান আহরণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। প্রতিযোগীতার এই যুগে আপনার কাছে যত জ্ঞান থাকবে তাই একসময় আপনার সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।(তথ্যসূত্র:http://www.shajgoj.com/2013/10/6666/)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আগে জানা দরকার অমনোযোগী ছাত্রছাত্রী বলে কি বিশেষ কোনো গোষ্ঠী আছে ? আসলে তা নয়। মনোযোগ প্রয়োগ করার ক্ষমতা প্রত্যেকেরই আছে। ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী ছেলেটা- যে সারাদিন ক্রিকেট নিয়েই থাকে, তাকে দেখুন টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখার সময় কী মগ্ন আর মনোযোগী! আবার পরীক্ষার আগে যখন চার মাসের পড়া করতে হবে এক সপ্তাহে, তখন কী গভীর আর অখন্ড মনোযোগ দিয়ে আপনি পড়তে পারেন! অর্থাৎ মূল বিষয়টি হচ্ছে আপনি ভিডিও গেমকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন,প্রতিদিনের পড়াশোনাকে ততটা দিচ্ছেন না,বইএর সামনে বসতে হয় তাই বসছেন। কিন্তু পরীক্ষার আগের রাতে আপনার ধ্যান-জ্ঞান হচ্ছে পড়া, তাই তখন আপনি ঠিকই পড়তে পারছেন। ভিডিও গেম, গাড়ি চালানো এবং বিনোদনমূলক কাজে যে আগ্রহ রয়েছে আস্তে আস্তে পড়াশোনায় সেই আগ্রহটা সৃষ্টি করতে হবে, তাহলেই মনযোগ সহকারে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে। কিন্তু কিভাবে আনব এই আগ্রহ ? পড়াশোনার মত নীরস বিষয়ে আবার আগ্রহ আনা যায় নাকি ! আমি বলব, হ্যা যায় -অবশ্যই যায়।আর এজন্য আপনার দরকার কিছু মোটিভেশন বা পিছুটান ।যার জন্য আপনার মনে পড়ার আগ্রহ তৈরি হতে বাধ্য।আর এই মোটিভেশন যে একেক জনের জন্য একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক।তবে আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে কারো সাধারণ লক্ষ্য একটাই- চাকরী পাওয়া।হ্যা- এটাইঅধিকাংশ মানুষের একমাত্র শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্য হতে দেখা যায়। অনেকে এই মানসিকতার বিরোধিতা করলেও আমি বলব-কোনো সমস্যা নেই। অন্তত এই লক্ষব নিয়ে হলেও বই টাকে হাতে তুলে নিন;চিন্তা করুন কি ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা চলছে বর্তমান চাকরীর বাজারে,এর মাঝে টিকে থাকতে হলে আপনাকে আমাকে এখনকার সময় টুকু কাজে লাগাতেই হবে।মনে রাখবেন একটি চিরন্তন সত্যি কথা-‘বর্তমানের প্রতি মুহুর্তের অপচয়ের জন্য আপনাকে ভবিষ্যতে মুল্য দিতে হবে’ এর বাস্তব প্রমাণ পেতে আপনার বেশি দূর যাবার দরকার নেই।স্কুল-কলেজেপরীক্ষায় কারা ভালো ফল পায় জানেন তো? সারা বছর যারা সময়টাকে কাজে লাগায় তারা,নাকি যারা ফেসবুক আর বন্ধু বান্ধব নিয়ে বছরটাকে পাড় করে দেয় তারা ? অনেকের আবার স্টুডেন্ট লাইফেই জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী খুঁজে নেওয়া হয়ে যায়।আমি জানি গুনীজনেরা এক বাক্যে বলবেন ‘এদের জীবন শেষ’.কিন্তু আমি একটু বেশিই পসিটিভ মাইন্ড এর লোক,তাই এর ভেতর ও ভালো দিক দেখতে পাচ্ছি স্পষ্ট।আসলে আমার কাছে মনে হয় আপনার স্বপ্নের সাথীটিও আপনার পড়া লেখার প্রতি আগ্রহ তৈরীতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা হতে পারে,যদি না তার অনুষঙ্গ কে আপনার সময় নষ্টের নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করেন।তাকে সাথে করে জীবন সাজাতে হলে আগে তো আপনার নিজেকেই স্বাবলম্বী হতে হবে তাই না?জানেন তো-“অভাব যদি ঘরে ঢোকে,ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়”. এখন নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন- পারবেন, শুধু মাত্র আর্থিক অক্ষমতার জন্য নিজের প্রিয় মানুষটিকে অন্যের কাছে বিসর্জন দিতে?পারবেন কি,চাকরি না পেয়ে যাযাবরের মতো অপরের বোঝা হয়ে জীবন কাটাতে?কিংবা,নিম্ন মানের একটা চাকরি পাওয়ার পর সকলের অহরাত্রি টিটকিরি সহ্য করতে? প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনার আমার সবার জানা,কিন্তু এর থেকে মুক্তির পথ আমরা জেনেও কি না জানার ভান করি না ? তাই বলছি,সময় ফুরিয়ে যায়নি……জীবন অনেক বড় ব্যাপার।আপনার আপ্রাণ চেষ্টা যেকোনো মুহূর্তে ঘুরিয়ে দিতে পারে জীবনের মোড় । এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে পড়ায় আগ্রহ ও মনযোগ তৈরি করা যায় তার কিছু সহজতম কৌশল— (১) প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কেন আপনি পড়ছেন। যখন আপনি বুঝবেন, এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তখনই আপনি আগ্রহী হবেন। আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে। অর্থাৎ আপনাকে জানতে হবে যে, কেন এই কাজটা গুরুত্বপূর্ণ। ২) মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী। তাহলে দেখবেন আপনার সমস্ত মনযোগ ঐ পড়াটুকু কমপ্লিট করাতে নিবদ্ধ হবে। (৩) বিষয়ের বৈচিত্র রাখুন।ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাব্জেট পরুন। একঘেঁয়েমি আসবে না।নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন।রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারেন,এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে। (৪) এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে।এনার্জি যত বেশি, মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে এক ঘণ্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন,বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন। (৫) আরেকটা কাজ করবেন-একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন।কারণ গবেষণায় দেখা গেছে,সাধারণত একটানা ৪০ মিনিটের বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন।কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো পাঁচ মিনিটের নামে দুঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে।একটু ফেসবুকে ঢুঁ মারলেন বা গান শুনলেন এই আরকি। পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে-জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না।কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না। (৬) পড়ার পরিবেশ আপনার মনযোগ তৈরীতে তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।আপনার চোখের পরিধির মধ্যে বই এর আশেপাশের কোনো আকর্ষনীয় বস্তু(যেমনঃছবি,শোপিস,মোবাইল) যেন চলে না আসে তা খেয়াল রাখতে হবে।এ জন্য সাদামাটা পরিবেশ এ(যেমন টেবিলে বসে বা বিছানায় হেলান দিয়ে) পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং উল্লেখিত বস্তু গুলোকে এ সময় দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। (৭) দিনে যখনি সময় পান ঐ দিনের টার্গেট করে রাখা পড়া টুকু করতে থাকুন।এই টাইম পড়ার জন্য নয় ঐ টাইম পড়ার জন্য ভালো এসব কথা ভুলে যান।.আর সবশেষে,যদি টার্গেটমতো পড়া ঠিকঠাক করতে পারেন,তাহলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন,তা যত ছোটই হোক। (৮) পড়তে বসলেই বাইরের হাজারো গুরুত্ববহ কাজের কথা মনে আসে। কিন্তু,সাবধান! পড়তে বসার আগে কোনো অসমাপ্ত কাজে হাত দেবেন না বা সেটার কথা মনে এলেও পাত্তা দেবেন না। চিন্তাগুলোকে বরং একটা কাগজে লিখে ফেলুন। (৯) আরেকটি জিনিস মনে রাখবেন- পড়ার জায়গায় যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে। আলো পড়ার মনোযোগ বাড়ায়। পড়ার কাজে যে জিনিসগুলো লাগবে তার সবগুলোই নিয়ে বসুন যাতে বার বার উঠে গিয়ে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করতে না হয়। বন্ধু রুমমেট বা বাসার কেউ আপনার মনোযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে কি না খেয়াল করুন।তাকে এড়ানোর জন্যে যথাসাধ্য কৌশল অবলম্বন করুন,অন্যথায় তাকে সরাসরি ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন।আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হলে যেকোনো মূল্যে সে নিজেকে সংযত রাখবে। ***পড়ায় মনযোগ বাড়ানোর জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে একটি চমৎ কার কোয়ান্টাম মেডিটেসন পদ্ধতি সাজেস্ট করি,আর তা হল একটি ঘড়িকে সামনে নিয়ে ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটায় একটানা দুমিনিট চোখ রাখা এবং উল্টো ষাট থেকে গোণা (৬০,৫৯,৫৮……) এ সময়ের মধ্যে যতবার মন ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে চেয়েছে সে সংখ্যাটা হিসেব করুন। প্রথমদিকে এই সংখ্যাটা খুব বেশি হতে পারে। এমনও হতে পারে যে, দুমিনিটে ২৫ বার মন বিক্ষিপ্ত হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত চর্চা করতে করতে একটা সময় এমন হবে যে, দুমিনিটে একবারও মন বিক্ষিপ্ত হচ্ছে না। কারণ নির্দিষ্ট বিষয় থেকে সরে গেলেই মনকে আবার ধরে আনা হচ্ছে। ফলে মনোযোগ বজায় রাখাটাই একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। ***গবেষনায় দেখা যে অনভ্যস্ত হাতকে মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।তাই যারা ডানহাতে সব কাজ করেন তারা মাঝে মাঝে বাম হাতটাও কিছু ছোটখাটো কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। ***কোন বিষয় সহজে আত্মস্থ করার একটি চমৎকার পদ্ধতি হচ্ছে মন দিয়ে প্রতিটা লাইন পরার আগেই পুরো অনুচ্ছেদ টা একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া।দেখবেন এরপর যখন মন দিয়ে পরতে যাবেন তখন বিষয় গুলো আর অচেনা মনে হবে না এবং অতি সহজে তখন ঐ পড়া আপনার মস্তিস্কে প্রবেশ করবে। এভাবে পড়ালেখাকে নিজেই নিজের মনের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ